• ঢাকা
  • সোমবার, ০২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

প্রতিবেদন জমা দিয়ে যা বললেন শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান


নিজস্ব প্রতিবেদক ডিসেম্বর ১, ২০২৪, ০৫:২৪ পিএম
প্রতিবেদন জমা দিয়ে যা বললেন শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান

ঢাকা: অর্থনীতিতে অনিয়ম ও দুর্নীতি তদন্তে গঠিত শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি রোববার (১ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নিকট তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। রাজধানীর তেজগাঁও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়।

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সেই মাসের শেষ সপ্তাহে দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থা তুলে ধরতে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি গঠিত হয়। এই কমিটিকে ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।

কমিটি বিভিন্ন দলিলপত্র পর্যালোচনা করে ও নানা অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে। সেই ধারাবাহিতায় রোববার ওই কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। 

এসময় শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য গণমাধ্যমকে বলেন, প্রধান উপদেষ্টা শ্বেতপত্রকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দলিল হিসেবে অভিহিত করেছেন।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন এটি (শ্বেতপত্র প্রতিবেদন) একটি ঐতিহাসিক দলিল। বাংলাদেশের অর্থনীতির ক্ষেত্রে যে দুরবস্থা চলে আসছে, এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে তা উন্মোচিত হয়েছে। পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে দেশে কৃত্রিম উন্নয়নের যে বয়ান প্রচলিত ছিল, তাকেও ধূলিসাৎ করেছে।

তিনি আরও জানান, প্রধান উপদেষ্টা মনে করেন যে এই শ্বেতপত্রকে সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রচার এবং এ নিয়ে পড়াশোনা করা উচিত। প্রয়োজনে এটিকে আগামী দিনে পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।

চূড়ান্ত শ্বেতপত্র প্রতিবেদনে অর্থনীতি নিয়ে স্বল্পমেয়াদি কিছু পদক্ষেপের বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে জানান দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, আগামী বাজেট পর্যন্ত একটি অর্থনৈতিক স্থিতায়ন কর্মসূচি দরকার। ফলে এই বিষয়টিকে সামনে নিয়ে আসতে হবে। এর সঙ্গে বাজার ব্যবস্থাপনা ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিও যুক্ত করতে হবে।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্যোগে আলাদাভাবে সংস্কারের যে বিভিন্ন পদক্ষেপ চলছে, এগুলোকে সময়–নির্দিষ্ট ও সমন্বিতভাবে মানুষের সামনে তুলে ধরা প্রয়োজন। বিশেষ করে আগামী বাজেট পর্যন্ত সরকার যে কী করতে যাচ্ছে, তা তুলে ধরা উচিত। তাহলে বাজার এবং আমাদের অর্থনীতির সঙ্গে সম্পর্কিত দেশের মানুষের ও বিদেশিদের মধ্যে একধরনের আস্থা আসবে।

ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে গঠিত শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন—সিপিডির সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক লিড ইকোনমিস্ট ড. জাহিদ হোসেন, জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. ম তামিম, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির বিজনেস অ্যান্ড ইকোনমিকস ফ্যাকাল্টির ডিন অধ্যাপক এ কে এনামুল হক, বিজনেস ইনিশিয়েটিভ লিডিং ডেভেলপমেন্টের (বিল্ড) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌস আরা বেগম, জনশক্তি রপ্তানি বিশেষজ্ঞ তাসনিম সিদ্দিকী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সেলিম রায়হান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আবু ইউসুফ, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. কাজী ইকবাল, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক শারমিন্দ নীলোর্মি এবং ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) নির্বাহী পরিচালক ইমরান মতিন।

এসএস

Wordbridge School
Link copied!