ঢাকা: আবারও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নীতি সুদহার (রেপো সুদ) আরেক দফা বাড়াতে চায় বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি (২০২৪-২৫) অর্থবছরের জানুয়ারি-জুন সময়ের মুদ্রানীতিতে আসতে পারে এই ঘোষণা। এতে গ্রাহক পর্যায়ে বাড়বে ঋণের সুদ, যার প্রভাব পড়বে ব্যবসা-বাণিজ্যে।
সূত্রে জানা যায়, রেপো (ট্রেজারি বিল জমা রেখে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ধার) সুদহার ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ দশমিক ৫০ শতাংশ করা হতে পারে। নীতি সুদহার বাড়লেও সরকারি কর্মকর্তা ও ব্যাংকারদের ঋণে সুদহার (৪ শতাংশ) অপরিবর্তিতই থাকবে।
উচ্চ মূল্যস্ফীতির মধ্যেও সরকার শতাধিক পণ্য-সেবায় ভ্যাট ও অন্যান্য কর বাড়িয়েছে। অন্যদিকে সরকারি কর্মচারীদের গ্রেড অনুযায়ী ২০ শতাংশ পর্যন্ত মহার্ঘভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর মাঝেই নীতি সুদহার বাড়ানো হবে। এতে ঋণের সুদ আরও বাড়বে।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডলার সংকটের পাশাপাশি সংকোচনমূলক মুদ্রানীতির কারণে বেসরকারি বিনিয়োগ এখন তলানিতে। বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি কমে গত নভেম্বরে নেমেছে ৭ দশমিক ৬৬ শতাংশে।
অন্যদিকে, মূল্যস্ফীতি ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। গত বছরের ডিসেম্বর শেষে গড় মূল্যস্ফীতি ১০ দশমিক ৩৪ শতাংশে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও চলতি অর্থবছর শেষে মূল্যস্ফীতি ৭ দশমিক ৫০ শতাংশে নামানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। আড়াই বছর ধরে উচ্চ মূল্যস্ফীতি রয়েছে। এর মধ্যে শতাধিক পণ্যে শুল্ক-কর বাড়ানো ও মহার্ঘভাতার কারণে মূল্যস্ফীতি আরও বাড়তে পারে।
এআর