• ঢাকা
  • শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩০

৬ ব্রোকারেজ হাউজের কার্যক্রম খতিয়ে দেখবে বিএসইসি


নিজস্ব প্রতিবেদক জানুয়ারি ২৯, ২০২৫, ১০:৪৯ এএম
৬ ব্রোকারেজ হাউজের কার্যক্রম খতিয়ে দেখবে বিএসইসি

ঢাকা: দেশের পুঁজিবাজারের সদস্যভুক্ত এসআইবিএল সিকিউরিটিজসহ ছয়টি ব্রোকারেজ হাউজের সার্বিক কার্যক্রম নজরদারিতে রেখেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। 

এসব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম খতিয়ে দেখতে তদন্ত করবে নিয়ন্ত্রণক সংস্থাটি। বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র মতে, প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম খতিয়ে দেখতে পৃথক দুইটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিএসইসি। গঠিত তদন্ত কমিটিকে আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন বিএসইসিতে দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

যেসব ব্রোকারেজ হাউজে তদন্ত চালানো হবে-সিনহা সিকিউরিটিজ লিমিটেড (ডিএসই ট্রেক নং-৬৭), আইসিবি সিকিউরিটিজ ট্রেডিং কোম্পানি লিমিটেড (ডিএসই ট্রেক নং-১২৯), এসআইবিএল সিকিউরিটিজ লিমিটেড (ডিএসই ট্রেক নং-৯৪), বাংলাদেশ ফাইন্যান্স সিকিউরিটিজ লিমিটেড (ডিএসই ট্রেক নং-৩০), আইএফআইসি সিকিউরিটিজ লিমিটেড (ডিএসই ট্রেক নং-১৯২) ও গ্রিন ডেলটা সিকিউরিটিজ লিমিটেড (ডিএসই ট্রেক নং-৫৯)।

জানা গেছে, তদন্ত কমিটি ব্রোকারেজ হাউজগুলোর মার্জিন অ্যাকাউন্টের সংখ্যা, নেগেটিভ ইক্যুইটিসহ বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) অ্যাকাউন্টের সংখ্যা, নেতিবাচক ইক্যুইটি কেন বাড়ছে ও এর জন‌্য কারা দায়ী, নেতিবাচক ইক্যুইটির পরিমাণ, প্রভিশনস বা মার্জিন অ্যাকাউন্টের বিপরীতে রক্ষিত তহবিল, প্রভিশনসের ঘাটতি, মার্জিন অ্যাকাউন্টে অননুমোদিত লেনদেনসহ আরো বিভিন্ন বিষয় খতিয়ে দেখবে।

সিনহা সিকিউরিটিজ, আইসিবি সিকিউরিটিজ ও এসআইবিএল সিকিউরিটিজের গঠিত তদন্ত কমিটির সদস‌্য করা হয়েছে ৩ জনকে। তারা হলেন- বিএসইসির অতিরিক্ত পরিচালক উম্মে সালমা, সহকারী পরিচালক আলী আহসান এবং অ্যাকাউন্টস অফিসার মো. রবিউল হক।

এছাড়া বাংলাদেশ ফাইন্যান্স সিকিউরিটিজ, আইএফআইসি সিকিউরিটিজ ও গ্রিন ডেলটা সিকিউরিটিজের গঠিত তদন্ত কমিটির সদস‌্যরা হলেন-বিএসইসির অতিরিক্ত পরিচালক মুসতারি জাহান, সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নুরুজ্জামান এবং সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল বাতেন।

তথ্য অনুযায়ী, বিগত সরকারের আমলে আইন লঙ্ঘন করা ব্রোকারেজ হাউজগুলোর বিরুদ্ধে তেমন কোনো কঠোর ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি। তবে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর পুনর্গঠিত বিএসইসির খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন নতুন কমিশন সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে ঘাটতি থাকা ব্রোকারেজ হাউজগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে।

জানা গেছে, ছয়টি ব্রোকারেজ হাউজের মার্জিন অ্যাকাউন্টের সংখ্যা, নেগেটিভ ইক্যুইটিসহ বিও অ্যাকাউন্টের সংখ্যা, প্রকৃত নেগেটিভ ইক্যুইটির পরিমাণ, প্রভিশনস, প্রভিশনসের ঘাটতি, মার্জিন অ্যাকাউন্টে অনুমতিবিহীন লেনদেন শনাক্ত করা এবং এর কারণ চিহ্নিত করা, ব্রোকারেজ হাউজগুলোতে নেগেটিভ ইক্যুইটির পরিমাণ কেন বাড়ছে তা চিহ্নিত করা, এজন‌্য কারা দায়ী তা চিহ্নিত করা।

ব্রোকারেজ হাউজগুলো কেন আনরিয়েলাইজড লসের বিপরীতে প্রয়োজনীয় প্রভিশনস বজায় রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে-সেটার কারণ চিহ্নিত করা। এছাড়া ব্রোকারেজ হাউজগুলোর এ সংক্রান্ত কি কি সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন করতে তা চিহ্নিত করা।

২০১৬ সাল থেকে একাধিকবার সময় চেয়েও ব্রোকারেজ হাউজগুলো কেন আনরিয়েলাইজড লসের বিপরীতে প্রয়োজনীয় প্রভিশনস বজায় রাখতে ব‌্যর্থ হচ্ছে-তা চিহ্নিত করা। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অন্য কোনো প্রাসঙ্গিক সমস্যা থাকেলে সেটাও চিহ্নিত করা হবে এই তদন্তের মাধ্যমে।

এএইচ/এম

Wordbridge School
Link copied!