Menu
ঢাকা: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের পদত্যাগ ও ১১ দাবিতে পুঁজিবাজারে ক্ষতিগ্রস্থ বিনিয়োগকারীদের নিয়ে বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর এ্যাসোসিয়েশন (BCMIA) প্রতিবাদ মহাসমাবেশ।
সোমবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) মতিঝিলে ডিএসইর পুরাতন ভবনের সামনে এ সম্মেলন শুরু হয়েছে।
সম্মেলনে পুঁজিবাজার পতন রোধে তাৎক্ষণিক করণীয় হিসেবে কয়েকটি দাবি জানানো হয়েছে। এগুলো হচ্ছে-
১। বিএসইসি'র চেয়ারম্যান ও আইসিবি'র চেয়ারম্যান কে দ্রুত অপসারণ করে নতুন যোগ্যচেয়ারম্যান নিয়োগ করে পুঁজিবাজার কে বাঁচাতে হবে।
০২। বর্তমান মার্কেট পরিস্থিতির কারণে গেইন-ট্যাক্স সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করতে হবে।
০৩। বর্তমান মার্কেট পরিস্থিতির কারণে অযাচিত হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে (তদন্ত ও অসময়ে জেড গ্রুপে প্রেরণ বিষয়ে)।
০৪। পুঁজিবাজারের তালিকাভূক্ত কোম্পানীকে জেড ক্যাটাগরিতে পাঠানোর বিধান সংস্কার করা প্রয়োজন। কারণ কোম্পানীর জেড ক্যাটাগরিতে গেলে সর্বোপরি বিনিয়োগকারী ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
০৫। কোম্পানীগুলোকে আয়ের নূন্যতম ৫০% লভ্যাংশ প্রদান করতে হবে।
০৬। ব্যাংক, ফাইন্যান্স, ইন্স্যুরেন্স, মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও আইসিবিসহ পুঁজিবাজারে তাদের যতটুকু বিনিয়োগ করার কথা তা শতভাগ কার্যকর করতে হবে।
০৭। টাস্ক ফোর্সের সংস্কারগুলো মিডিয়ার মাধ্যমে বিনিয়োগকারী ও পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের দ্রুত জানাতে হবে। সংস্কারের নামে কালক্ষেপন করে বিনিয়োগকারীকে ক্ষতিগ্রস্থ বা সর্বশান্ত করা হচ্ছে।
০৮। কোম্পানীগুলোকে নূন্যতম শেয়ার ধারণ ৩০% অবিলম্বে কার্যকর করতে হবে।
০৯। বিএসইসি'র দায়িত্ব অন্তত ১০টি মিউচ্যুয়াল ফান্ড দ্রুত সময়ের মধ্যে বাজার বিনিয়োগনিয়ে আসা।
১০। পুঁজিবাজারের তালিকাভূক্ত কোন কোম্পানী পর পর ২ (দুই) বছর লভ্যাংশ প্রদানে ব্যর্থহলে তাহার বোর্ড পুনর্গঠন করতে হবে।
১১। ফোর্স সেল বন্ধ করতে হবে।
বিনিয়োগকারীদের দাবি, রাশেদ মাকসুদ অযোগ্য। তার শেয়ারবাজার নিয়ে জ্ঞান নাই। তারপক্ষে শেয়ারবাজার পরিচালনা করা সম্ভব না। তাই শেয়ারবাজারের স্বার্থে তার দ্রুত পদত্যাগ দাবি করা হয়েছে।
এআর
© 2025 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সোনালীনিউজ.কম
Powered By: Sonali IT