• ঢাকা
  • বুধবার, ১৯ মার্চ, ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩০

বকেয়া বেতনের দাবিতে ফু-ওয়াং ফুডের শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ


নিজস্ব প্রতিবেদক:  মার্চ ১৮, ২০২৫, ০৪:৫৩ পিএম
বকেয়া বেতনের দাবিতে ফু-ওয়াং ফুডের শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ

ঢাকা: দেশের পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানি ফু-ওয়াং ফুডস লিমিটেডের শ্রমিকরা বকেয়া বেতন ও বোনাসের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সকাল ৯টা থেকে পৌণে ১০টা পর্যন্ত মহাসড়কের গাজীপুরের হোতাপাড়া এলাকায় অবস্থান নিয়ে প্রায় চার শতাধিক কর্মচারী বিক্ষোভে অংশ নেন।

এতে মহাসড়কের উভয় পাশে সকল ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। ফলে চালক, যাত্রী ও স্থানীয়দের চলাচলে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। খবর পেয়ে জয়দেবপুর থানা পুলিশ, শিল্প পুলিশ এবং সেনাবাহিনী সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে কারখানা কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে শ্রমিকদেরকে দাবী পূরণের আশ্বাস দিলে তারা মহাসড়ক ছেড়ে কারখানা অভ্যন্তরে অবস্থান নেয়। পরে সকাল ৯ টা ৫০ মিনিটে সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

শ্রমিকরা বলেন, প্রতি বছরই ঈদ এলে মালিক ও কারখানার ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ বেতন বোনাস নিয়ে এরকম টালাবাহান করে থাকে। জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। আসন্ন ঈদ বোনাসও এখানো দেয়নি কারখানা কৃর্তপক্ষ। বিভিন্ন সময় বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাসসহ সকল পাওনা পরিশোধের আশ্বাস দিলেও কর্তৃপক্ষ টালাবাহান করছে। থানা, শিল্প পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর আশ্বাসে আমরা মহাসড়ক থেকে সরে এসেছি। তারা আমাদেরকে বলেছে আজকে বিকেলের মধ্যে বোনাসসহ আমাদের সকল পাওনা পরিশোধ করে দিবে। এ মুহূর্তে সকল শ্রমিক কারখানা অভ্যন্তরে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। বোনাসসহ বকেয়া পাওনা না দিলে আমরা খারখানা থেকে যাব না।

গাজীপুর শিল্প পুলিশের ইন্সপেক্টর আব্দুল লতিফ বলেন, মার্চ মাসসহ দুই মাসের বেতন এবং ঈদ বোনাস বকেয়া রয়েছে। সড়ক অবোধের খবর পেয়ে থানা, শিল্প পুলিশ এবং সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌছে কারখানা কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে শ্রমিকদেরকে দাবি পূরনের আশ্বাসে দিলে তারা মহাসড়ক ছেড়ে কারখানা অভ্যন্তরে অবস্থান নিয়েছে। যৌথ বাহিনীর সদস্যরা কারখানার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করছেন। চেষ্টা করা হচ্ছে যেন আজকের মধ্যেই শ্রমিকদের বোনাসসহ সকল বকেয়া যাওনা পরিশোধ করা হয়।

ফু-ওয়াং ফুডস লিমিটেড কারখানার মানবসম্পদ ও প্রশাসন বিভাগের কর্মকর্তা মুকিত হোসাইন বলেন, শ্রমিকদের দাবি সঠিক নয়। শুধুমাত্র ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। ইতোমধ্যে গতকাল বিকেল থেকে বেতন দেওয়া শুরু হয়েছিল। রাত হয়ে যাওয়ায় এবং টাকার অঙ্ক বড় হওয়ায় কিছু শ্রমিকের বেতন বাকি ছিল। ব্যাঙ্ক থেকে টাকা আনার পর বেতন দেওয়া শুরু হবে।

এএইচ/আইএ

Wordbridge School
Link copied!