• ঢাকা
  • শনিবার, ২২ মার্চ, ২০২৫, ৮ চৈত্র ১৪৩০

পণ্যের দামে স্বস্তি, চাল আর ব্রয়লার মুরগিতে অস্বস্তি


নিজস্ব প্রতিবেদক মার্চ ২১, ২০২৫, ০৯:৫৭ এএম
পণ্যের দামে স্বস্তি, চাল আর ব্রয়লার মুরগিতে অস্বস্তি

ঢাকা: বাজারে সোনালি মুরগি ও ফার্মের মুরগির ডিমসহ কিছু পণ্যের দাম কমেছে। আগের মতোই কম দামে স্থিতিশীল রয়েছে আলু, পেঁয়াজসহ বিভিন্ন সবজি। রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

এদিকে বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ব্রয়লারের দাম বেড়েছে প্রায় ২০ টাকা। অন্যদিকে দুই সপ্তাহের মধ্যে সরু চালের দাম কেজিতে ৫ থেকে ৮ টাকা বেড়েছে। চড়া রয়েছে লেবু ও বেগুনের দামও।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, গতকাল বাজারভেদে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২১০-২২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। খুচরা বিক্রেতারা জানান, দুই দিনের মধ্যে এ দাম বেড়েছে। এর আগে ১৯০-২০০ টাকা দরে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছিল।

মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজারের ভিআইপি ব্রয়লার হাউসের মুরগি বিক্রেতা মো. বেলাল উদ্দিন বলেন, আর কয়েক দিন পর ঈদ। রোজার ঈদের আগে মুরগির দাম সাধারণত কিছুটা বাড়ে। এ জন্য পাইকারি বাজারে কম পরিমাণে মুরগি ছাড়ছেন খামারিরা। আর চাহিদার তুলনায় মুরগি কম আসায় দাম বেড়েছে।

ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়লেও কিছুটা কমেছে সোনালি মুরগির দাম। গতকাল ধরনভেদে প্রতি কেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হয়েছে ২৬০-২৮০ টাকায়, যা এর আগের সপ্তাহে কেজিতে ১০-২০ টাকা বেশি ছিল।

এ ছাড়া বাজারে ফার্মের মুরগির ডিমের দামও কম রয়েছে। বর্তমানে ঢাকার বাজারগুলোতে এক ডজন ডিম ১১০-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অবশ্য পাড়া-মহল্লায় এ দাম কিছুটা বেশি নেওয়া হয়। গরু ও খাসির মাংসের দাম গত সপ্তাহের মতোই রয়েছে। গতকাল প্রতি কেজি খাসির মাংস ১ হাজার ১৫০ টাকা ও গরুর মাংস ৭৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

এ বছর রোজার শুরুতেই লেবু, বেগুন ও শসার দাম বেড়ে যায়। পরে পণ্য তিনটির দাম কিছুটা কমলেও তা এখনো চড়া রয়েছে। রোজার শুরুর দিকে আকারভেদে এক হালি লেবু ৫০-৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। পরে সেই দাম কিছুটা কমে ৪০-৭০ টাকা হয়। গতকালও এ দরেই বাজারে লেবু বিক্রি হতে দেখা গেছে। বেগুন ও শসারও একই অবস্থা। বর্তমানে প্রতি কেজি বেগুন ৬০-১০০ টাকা ও হাইব্রিড শসা ৬০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহেও একই দামে ছিল।

চালের দাম বাড়তি
বাজারে সরু তথা মিনিকেট চালের দাম আরেক দফা বেড়েছে। গত দুই সপ্তাহে মিনিকেট চালের দাম কেজিতে ৫ থেকে ৮ টাকা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বাজারে রশিদ, ডায়মন্ড, সাগর, মোজাম্মেল ইত্যাদি ব্র্যান্ডের মিনিকেট চাল জনপ্রিয়। 

খুচরা দোকানে এসব ব্র্যান্ডের প্রতি কেজি মিনিকেট চালের দাম ৮৫ টাকা ৮৮ টাকা বিক্রি হতে দেখা গেছে। সবচেয়ে বেশি দাম মোজাম্মেল ব্র্যান্ডের মিনিকেট চালের। প্রতি কেজি মোজাম্মেল চাল ৯৮ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি করছেন বিক্রেতারা।

ব্যবসায়ীরা জানান, আমন মৌসুম শেষ হওয়ায় বাজারে মিনিকেট চালের মজুতও শেষের দিকে। সরবরাহ কমায় ও ধানের দাম বাড়ায় মিনিকেট চালের দামও বেড়েছে। দাম বাড়ায় মিনিকেটের বিক্রি আগের তুলনায় কমেছে। তবে মাঝারি ও মোটা চালের দাম বাড়েনি।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, ক্রেতারা স্বল্প পরিসরে ঈদের পণ্য কেনাকাটা শুরু করেছেন। বিশেষ করে সেমাই, নুডলস, পোলাওয়ের চাল, বিভিন্ন ধরনের মসলা প্রভৃতি বেচাকেনা হচ্ছে। বিক্রেতারা জানান, পাঁচ-ছয় দিন পর থেকে পুরোদমে ঈদের বেচাকেনা শুরু হবে। বেশির ভাগ ঈদপণ্যের দাম মোটামুটি স্থিতিশীল রয়েছে। তবে দাম বেড়েছে এলাচির।

বর্তমানে বড় আকারের এক কেজি এলাচি ৫ হাজার ৪০০ টাকা ও ছোট আকারের এলাচি ৪ হাজার থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত ১৫ দিনের মধ্যে এলাচির দাম কেজিতে ৪০০ টাকার মতো বেড়েছে। এদিকে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ আগের তুলনায় বেড়েছে। তবে চাহিদা অনুসারে পর্যাপ্ত সরবরাহ নেই বলে খুচরা বিক্রেতারা জানিয়েছেন।

এআর

Wordbridge School
Link copied!