ঢাকা: চলতি বছরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বদলি কার্যক্রম চালু হচ্ছে না। ২০২১ সালের জানুয়ারি কিংবা ফেব্রুয়ারি মাসে শুরু হতে পারে। সেসময় নিয়ম অনুসারেই বদলি কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। দুর্নীতি ও ভোগান্তি দূর করতে অনলাইনে এ কার্যক্রম সম্পন্ন করার সুযোগও থাকবে।
শিক্ষা অধিদফতের একটি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছেন। দু’বছর পর চলতি শিক্ষাবর্ষে এসেই পুনরায় চালু হয়েছিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বদলি কার্যক্রম। তবে লকডাউনের কারণে মাত্র আঠারো দিনেই বন্ধ করতে হয়েছে কার্যক্রম।
লকডাউনের পর অফিস কার্যক্রম নতুন করে চালু হলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, এ বছরেই অনলাইনে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বদলি করা হবে। ফলে বদলি নিয়ে শিক্ষকদের আর হয়রানি, অর্থ ব্যয় ও দালালদের খপ্পরে পড়তে হবে না। কোনো রকম তদবির ছাড়া ঘরে বসেই আবেদন করে বদলি হতে পারবেন শিক্ষকরা।
মন্ত্রণালয় বলছে, শিক্ষক বদলির জন্য যে সফটওয়্যারটি ডেভেলপ করা হয়েছে সেটিকে আরো বেশি কার্যকর করতে কিছুটা দেরি হচ্ছে। অনলাইনের বদলি কার্যক্রমটিকে আরো বেশি নির্ভুল করতে অধিকতর থেকে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
এছাড়া পুরনো সচিবের বিদায় ও নতুন সচিব দায়িত্ব নেয়ার জন্য কিছুটা সময় লাগছে। অধিদফতরেও এসেছেন নতুন মহাপরিচালক। তবে মন্ত্রণালয় আশা করছে, নতুন দায়িত্ব নেয়া সচিব ও মহাপরিচালক কাজটিকে দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাবেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহাম্মদ মনসুরুল আলম বলেন, আমি দায়িত্ব নেয়ার পর বিষয়টিতে চোখ বুলিয়েছি। এই সপ্তাহেই আমরা একটি সিদ্ধান্তে আসবো।
বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব ও সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ বলেন, এটি তো শিক্ষকদের অনেক দিনের দাবি। কার্যক্রমটি শুরু করা খুব কঠিন কোনো কাজ নয়। কোনো রকম হয়রানি ও তদবির ছাড়া যেন দ্রুত অনলাইন শিক্ষক বদলি কার্যক্রম শুরু হয় সেই দাবি জানান তিনি।
এদিকে, অনলাইনে বদলিতে প্রতিবন্ধী, গুরুতর অসুস্থ ও বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে এমন কিংবা বিধবা নারী, স্বামী বা স্ত্রী বা সন্তান দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত শিক্ষকদের জন্য আরো সহজ করতে সফটওয়্যারটিকে উন্নতর করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। এসব শিক্ষকদেরকে আলাদা করে প্রাধান্য দিতেই সফটওয়্যারটিকে আরো কিছু কমান্ড দেয়া হচ্ছে। সফটওয়ারটি আবার ট্রায়াল দিয়ে নির্ভুলতা পরিমাপ করেই বদলি চালু করা হবে।
উল্লেখ্য, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বদলি কার্যক্রম জানুয়ারিতে শুরু হয়ে চলে ৩১ মার্চ পর্যন্ত। প্রতিবছর এই বদলি নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। এসব কারণেই ২০২০ সাল থেকে অনলাইনে প্রাথমিক শিক্ষক বদলি কার্যক্রম চালু করতে কাজ শুরু করে মন্ত্রণালয়।
সোনালীনিউজ/এমএইচ
আপনার মতামত লিখুন :