• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১

রাবিতে এক বিভাগের গবেষণা সরঞ্জাম অন্য বিভাগে স্থানান্তরে আপত্তি!


রাবি প্রতিনিধি জানুয়ারি ৫, ২০২১, ০৬:০১ পিএম
রাবিতে এক বিভাগের গবেষণা সরঞ্জাম অন্য বিভাগে স্থানান্তরে আপত্তি!

ফাইল ছবি

রাবি : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) জেনেটিক ইজ্ঞিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের এক ল্যাবের গবেষণা সরঞ্জাম স্থানান্তর করে নতুন বিভাগ মাইক্রোবায়োলজিতে স্থানান্তর করা হয়েছে।

গত ১৭ই ডিসেম্বর সাবেক রেজিস্ট্রার এম এ বারী স্বাক্ষরিত এক আদেশে সরঞ্জাম স্থানান্তরের নির্দেশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে, ওই আদেশের বিষয়টি জানতে পেরে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষকরা আপত্তি জানিয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে গেছে, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. বিশ্বনাথ শিকদারকে নব সৃষ্ট মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে তিন বছরের জন্য বিভাগটির সভাপতি নিযুক্ত করে প্রেষণে বদলি করা হয়। ওই আদেশে একই সাথে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগে ড. শিকদারের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত গবেষণাগারের সকল যন্ত্রপাতি সম্পূর্ণরূপে নবসৃষ্ট মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে স্থানান্তরের শর্ত প্রদান করা হয়। 

জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের  শিক্ষকরা বলছেন, আদেশে উল্লেখিত ল্যাবে ড. শিকদার ছাড়াও আরো ৬ জন শিক্ষক কাজ করেন। এসব শিক্ষকগণ গবেষণাগারটিতে বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থায়নে গবেষণা সরঞ্জাম যুক্ত করেছেন। এখন পুরো গবেষণাগারটি নতুন বিভাগে স্থানান্তর করা হলে বিভাগের গবেষণা কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হবে। 

তাছাড়া, এক বিভাগের গবেষণা সরঞ্জাম অন্য বিভাগে স্থানান্তরের বিষয়টিও নজিরবিহীন বলে জানান তারা। তারা বলেন জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগটিও বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগ থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। তখন নতুন বিভাগে উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগ থেকে কোন গবেষণা সরঞ্জাম স্থানান্তরের প্রয়োজন পড়েনি।

এ বিষয়ে জেনেটিক ইজ্ঞিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. জিন্নাত ফেরদৌসি বলেন, আমরা গত রোববার ১৭ই ডিসেম্বর রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত আদেশের একটি অনুলিপি পাই। আদেশটি পাওয়ার পাওয়ার পর বিভাগের একাডেমিক কমিটি ও প্ল্যানিং কমিটির জরুরী সভার আহ্বান করা হয়। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে আদেশটিতে আপত্তি জানানো হয়েছে। আদেশটি প্রত্যাহার করতে আমরা রেজিস্ট্রারকে একটি পত্র প্রেরণ করব। 

জানতে চাইলে অধ্যাপক ড. বিশ্বনাথ শিকদার বলেন, আপত্তির বিষয়ে আমাকে এখনো অবহিত করা হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা সরঞ্জাম এক বিভাগ থেকে অন্য বিভাগে স্থানান্তরে কোন আইন বা নীতিগত বাঁধা নেই। তাছাড়া রেজিস্ট্রারের আদেশ শুধুমাত্র বিভিন্ন প্রকল্পের অধীনে অর্জিত সরঞ্জামগুলোর ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে। আর এতে তো আমার ব্যক্তিগত স্বার্থ নেই। 

তিনি বলেন, মাইক্রোবায়োলজি একটা সফিস্টিকেটেড সাবজেক্ট। গবেষণার ইকুইপমেন্ট ছাড়া এ বিষয়ে পাঠদান শুরু করা সম্ভব নয় বলে। একটি নতুন বিভাগে গবেষণা সরঞ্জামের জন্য অর্থ বরাদ্দ হতেও ছ’মাস একবছর লেগে যায়। 

মূলত নতুন বিভাগে পাঠদান শুরু ও আমার গবেষণা কার্যক্রম চালিয়ে নেয়ার জন্যেই আমি রেজিস্ট্রারকে গবেষণা সরঞ্জামগুলো স্থানান্তরের অনুরোধ করেছিলাম। নতুন বিভাগের জন্য গবেষণাগারটির চার ভাগের এক ভাগ সরঞ্জামের প্রয়োজন হতে পারে। পরে নতুন বিভাগ কর্তৃক নিজের গবেষণা সরঞ্জাম সংগৃহীত হলে আমরা এ ইকুইপমেন্টগুলো আবার ফিরিয়ে দেব।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School

শিক্ষা বিভাগের আরো খবর

Link copied!