ঢাকা: সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকদের সিনিয়র শিক্ষক পদে পদোন্নতির সংশোধিত খসড়া তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এ তালিকা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সহকারী শিক্ষকদের প্রথম শ্রেণির নন-ক্যাডার শিক্ষক পদে পদোন্নতি দেয়া হবে। প্রায় সাড়ে ৫ হাজার শিক্ষককে পদোন্নতি দেয়া বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
মাউশি থেকে জানা গেছে, গত বছরের ৩০ নভেম্বর সিনিয়র শিক্ষক পদে পদোন্নতির খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হয়। ১ ডিসেম্বর অধিদফতরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এ তালিকায় ৬ হাজার ১৫৫ জন সহকারী শিক্ষককে সিনিয়র শিক্ষক পদে পদোন্নতি জন্য জ্যেষ্ঠতার তালিকা তৈরি করা হলেও তা নিয়ে কিছু শিক্ষকের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়। এ শ্রেণির শিক্ষকরা মাউশি ঘেরাও করেন, অনেকে আবার অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে এ তালিকা বতিলের দাবি জানান। পরে এ তালিকা বাতিল করে নতুনভাবে তা তৈরি করার উদ্যোগ নেয় মাউশি।
এ বিষয়ে মাউশির উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আজিজ উদ্দিন বলেন, ২০১১ ও ২০১২ সালে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করা শিক্ষকদের জ্যেষ্ঠতা নিয়ে কিছুটা জটিলতা তৈরি হলে নতুনভাবে তা সংশোধান আনা হয়েছে। সংশোধিত তালিকা প্রকাশের পর তা নিয়ে কোন ধরণের অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, প্রথমে সাড়ে ছয় হাজার শিক্ষকের তালিকা তৈরি করা হলেও বর্তমানে ৭ হাজার ২৭৪ জনের জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে অন্তভূক্ত করা হয়েছে। ২০১৫ সালে পদোন্নতি সংক্রান্ত আদালতের নির্দেশনা খসড়া তালিকায় উল্লেখ করা হয়েছে। পদোন্নতির ক্ষেত্রে তা সহায়ক হতে পারে। শিক্ষকদের পদোন্নতির পদটি প্রথম শ্রেণি হওয়ায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, সরকারি কর্ম কমিশন ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতিক্রমে শিক্ষকদের পদোন্নতি দেয়া হবে।
সূত্রে জানা যায়, এ পদোন্নতির ফলে শিক্ষকদের কোনো আর্থিক সুবিধা না বাড়লেও সামাজিকভাবে তাদের মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে। ফলে শিক্ষাক্ষেত্রে এর একটি ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। এছাড়া পদোন্নতির এ জট খুললে মাধ্যমিকের উপরের বিভিন্ন পদায়নও সম্ভব হবে।
সারাদেশে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নন-ক্যাডার শিক্ষক পদে কর্মরত ১০ হাজার ৫০০ জন। এর মধ্যে ৫ হাজার ৪০৭ জন শিক্ষক এই পদোন্নতিতে যুক্ত হবেন।
জানতে চাইলে মাউশি পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক মো. বেলাল হোসেন বলেন, মুজিববর্ষে পদোন্নতি বাস্তবায়নের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হচ্ছে। আমরা কোনোভাবেই কালক্ষেপণ করতে চাই না। জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে তালিকা চূড়ান্ত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যে সিনিয়র শিক্ষকে পদোন্নতি দেয়া হতে পারে বলে জানান তিনি।
সোনালীনিউজ/এমএইচ
আপনার মতামত লিখুন :