ঢাকা: শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম চালিয়ে যেতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। এ জন্য তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি স্থগিত করার আদেশের শুনানিতে নিজেদের আইনজীবীসহ অতিরিক্ত দুই আইনজীবীকে নিয়োগ দিয়েছে এনটিআরসিএ। এছাড়া শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনকেও রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এদিকে এনটিআরসিএ’র তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি স্থগিত করার আদেশের শুনানির কথা ছিল মঙ্গলবার (১৮ মে)। সেটি পিছিয়ে ২০ মে নির্ধারণ করা হয়েছে।
এনটিআরসিএ’র চেয়ারম্যান বলেন, ‘মহামান্য হাইকোর্টের আদেশে গণবিজ্ঞপ্তির কার্যক্রম স্থগিত আছে। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। ২০ মে’র শুনানিতে আমাদের নির্ধারিত আইনজীবী ছাড়াও আরও দুই আইনজীবী থাকবেন। এছাড়া সম্মানিত অ্যাটর্নি জেনারেলকেও রাখার চেষ্টা করছি। ৫৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাব। আমরা চাই যোগ্য শিক্ষকরা চাকরি পাক।’
তিনি আরও বলেন, ‘তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করতে আমরা আইন মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে কার্যক্রম শুরু করেনি। আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক নির্ধারিত পদ ফাঁকা রেখে বাকী পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। এ কারণে আশা করি নির্দেশনা আমাদের পক্ষে আসতে পারে। আমাদের পক্ষে রায় এলে দ্রুত সময়ের মধ্যে নিয়োগ কার্যক্রম শেষ করা হবে।’
এর আগে গত ৪ এপ্রিল গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। ৩০ এপ্রিল আবেদনের সময় শেষ হয়। এতে প্রায় এক কোটি আবেদন জমা পড়ে।
এরপর গত ৬ মে গণবিজ্ঞপ্তি স্থগিত করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ১ম থেকে ১২তম নিবন্ধন পরীক্ষার সনদধারীদের মধ্যে যারা বঞ্চিত মনে করে আদালতে গিয়েছিলেন, তাদের এক সপ্তাহের মধ্যে নিয়োগে সুপারিশ করার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ১৪ ডিসেম্বর হাইকোর্ট একটি রায় দিয়েছিলেন। ওই রায়ে কয়েক দফা নির্দেশনা ছিল। তার মধ্যে একটি ছিল সম্মিলিত মেধা তালিকা অনুযায়ী রিট আবেদনকারী এবং অন্যান্য আবেদনকারীদের নামে সনদ জারি করা। কিন্ত দুই বছরেও রায় বাস্তবায়ন না করায় রিট আবেদনকারীরা আদালত অবমাননার আবেদন করেন। সে আবেদনের শুনানি করে ২০১৯ সালে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এ রুল বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায় ৫৪ হাজার পদের জন্য গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে এনটিআরসিএ। এরপর নিয়োগ থেকে বিরত থাকতে একটি আবেদন করেন রিটকারীরা।
সোনালীনিউজ/এইচএন
আপনার মতামত লিখুন :