ঢাকা : করোনাভাইরাসের কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও অনলাইনে চলছে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কার্যক্রম। তবে অনলাইনে একাডেমিক কার্যক্রম চললেও শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নিয়ে অনেক বেগ পোহাতে হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে।
কয়েকবার পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েও করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে শেষ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা নিতে পারেনি। অন্যদিকে, করোনার মধ্যেই পরীক্ষা দিতে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা। শেষ পর্যন্ত করোনাকালে আবাসিক হল খোলা হবে না- এমন শর্তে শিক্ষার্থীদের সশরীরে পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
ওই ঘোষণার পর যেসব শিক্ষার্থীর ঢাকায় আবাসিক সুবিধা নেই, তারা বিপাকে পড়ে। তবে শিক্ষার্থীদের এই সমস্যার সমাধান করে চতুর্থ বর্ষের সপ্তম সেমিস্টারের পরীক্ষা নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদভুক্ত ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ।
রোববার (২০ জুন) দুপুর ১২টা থেকে দুপুর ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বিভাগের চতুর্থ বর্ষের সপ্তম সেমিস্টারের ৮১ জন শিক্ষার্থীর সবাই পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন বলেন, প্রতিবছর বিভিন্ন পরীক্ষা নিতে গিয়ে দেখা যায় অনেক শিক্ষার্থী অনুপস্থিত থাকে। তবে করোনার মধ্যে চতুর্থ বর্ষের সপ্তম সেমিস্টারের পরীক্ষায় শতভাগ উপস্থিতি দেখা গেছে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকের আবাসিক সুবিধা ছিল না। আমরা বিভাগের শিক্ষকদের সহায়তায় শিক্ষার্থীদের এই সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করেছি।
স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে তিনি বলেন, সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। এক টেবিল পরপর পরীক্ষার্থীদের বসানো হয়েছে এবং মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, খুবই সুন্দরভাবে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। পরীক্ষায় শতভাগ শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল। শিক্ষার্থীরা আন্তরিকতার সঙ্গে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে।
সোনালীনিউজ/এমএএইচ
আপনার মতামত লিখুন :