ঢাকা : বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওর্ভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ইএফটির মাধ্যমে সরাসরি নিজ ব্যাংক একাউন্টে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
আরও পড়ুন : জানুয়ারি থেকে স্কুল-কলেজে নতুন রুটিনে ক্লাস
এমপিওর অর্থ জিটুপি (গভর্মেন্ট টু পারসন) পদ্ধতিতে ইএফটির (ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার) মাধ্যমে পাঠানো হবে। এ ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর শিক্ষক-কর্মচারীদের হালনাগাদ তথ্য চেয়েছে। চাওয়া হয়েছে নয়টি শর্ত।
শর্তগুলো হল :
১) শিক্ষক-কর্মচারীদের জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বর
২) এসএসসি ও সমমানের সনদ অনুযায়ী শিক্ষক-কর্মচারীর নাম (এসএসসি ও সমমানের সনদ অনুযায়ী এমপিও শীট ও জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম একই রকম হতে হবে।
৩) যাদের এসএসসি ও সমমানের সনদ নেই তাদের সর্বশেষ শিক্ষাগত যোগত্যতার সনদ ( এমপিও শীট ও জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম একই হতে হবে।
৪) ব্যাংক হিসাবের নাম শিক্ষক-কর্মচারীদের নিজ নামে থাকতে হবে।
৫) ব্যাংকের নাম, শাখার নাম ও রাউটিং নম্বর
৬) শিক্ষক-কর্মচারীদের ব্যাংক হিসাব নম্বর (অনলাইন ব্যাংক হিসাব নম্বর ১৩ থেকে ১৭ ডিজিট)
৭) শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্ম তারিখ
৮) শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন কোড
৯) শিক্ষক-কর্মচারীদের মোবাইল নম্বর। এসব তথ্য হালনাগাদ না থাকলে এমপিও‘র অর্থ শিক্ষক-কর্মচারীদের ব্যাংক হিসাবে জমা হবে না বলে জানানো হয়।
আরও পড়ুন : রাবি ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হলেন কাঠমিস্ত্রি মোস্তাকিম
সরকারের এই সময়োপযোগী সিদ্ধান্তে শিক্ষক-কর্মচারীদের মাঝে উৎসাহ দেখা দিয়েছে। তবে শিক্ষা সনদ অনুযায়ী এমপিও শীট ও জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম একই রকম হতে হবে”-তথ্য হালনাগাদ নিয়ে নিয়ে শিক্ষক-কর্মচারীদের মাঝে উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা বিরাজ করছে।
কেননা এমপিও শীটে বেশির ভাগ শিক্ষক-কর্মচারীদের নামের বানান ভুল রয়েছে।
শিক্ষা সনদ ও জাতীয় পরিচয় পত্রের নামের ইংরেজি বানানে আক্ষরিক গরমিল আছে এমপিও শীটে। শিক্ষাসনদ ও জাতীয় পরিচয় পত্রে পুরো নাম থাকলেও এমপিও শীটে এসেছে সংক্ষিপ্ত নাম। অনেকের ক্ষেত্রে নামের অক্ষর ভুল এসেছে।
শিক্ষাসনদে বাংলায় “মোহাম্মদ” এবং ইংরেজিতে Mohammed/Mohammad থাকলে ইংরেজিতে সংক্ষিপ্ত রূপ এসেছে MD । এমপিও শীটে অনেকের নামের অংশে আক্ষরিক বহু ভুল এসেছে। ইতিপূর্বে অনেকে ভুল সংশোধনের জন্য আবেদন করেও কোন লাভ হয়নি। অথচ এমপিওভুক্তির সময় এমপিও‘র নির্ধারিত ফরমে শিক্ষাসনদ অনুযায়ী বাংলা ও ইংরেজি বানান স্পষ্ট করে লেখা হয়েছে।
অস্বীকার করার উপায় নেই কারো ইচ্ছায় কিংবা অনিচ্ছায় এমপিও শীটে নামের বানান ভুল এসেছে। অন্যদিকে এনআইডি সিস্টেম চালুর আগে বহু শিক্ষক-কর্মচারী এমপিও ভূক্ত হয়েছে। সম্ভবত ২০০৮ সালে এনআইডি কার্ড প্রথা চালু হয়।
এছাড়াও বহু শিক্ষক-কর্মচারীর শ্ক্ষিা সনদ বাংলা ভার্সনে। ফলে এমপিও শীটে ভুল হওয়াটা স্বাভাবিক। এমপিও শীটে নামের ভুল কিভাবে সহজভাবে সংশোধন করা যায় তা চিন্তা করা দরকার। আমি মনে করি বর্তমান আইসিটি যুগে এসব ভুল সংশোধন কোন ব্যাপারই নয়। এমপিও শীটে সংশোধন সিস্টেম সবার জন্য ওপেন ও সহজ করে দিলে যার যারটা সে সংশোধন করে নিতে পারবে।
আরও পড়ুন : পিইসি পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন নিয়ে ডিজির নির্দেশনা
অথবা সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানের কাছে সিস্টেমটি পাঠানো প্রতিষ্ঠানে বসেও সংশোধন করতে পারবে। এক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে উদ্যোগী ও আন্তরিক হতে হবে। এমপিও শীটে নামের ভুল বানানকে সহজভাবে নিয়ে সহজভাবে সংশোধনের ব্যবস্থা নিতে হবে।
তাই নামের ভুল সংশোধনপূর্বক এমপিও শীট হালনাগাদের মাধ্যমে ইফটিতে বেতন চালুর ব্যবস্থা করা হোক।
লেখক: সহকারি অধ্যাপক, আলহাজ্ব মোস্তফিজুর রহমান কলেজ, লোহাগাড়া
আপনার মতামত লিখুন :