• ঢাকা
  • রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১৪ পৌষ ১৪৩১

এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে যা বললেন শিক্ষামন্ত্রী


নিজস্ব প্রতিবেদক অক্টোবর ২৯, ২০২১, ০৩:১২ পিএম
এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে যা বললেন শিক্ষামন্ত্রী

ঢাকা : দ্রুত সময়ের মধ্যে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

বুধবার (২৭ অক্টোবর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান শিক্ষামন্ত্রী।

নানা কারণে দীর্ঘদিন নিয়োগ নেই এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। তবে সবশেষ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৩৮ হাজার শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। এ নিয়োগ নিয়েও দেখা দিয়েছে দীর্ঘসূত্রতা। চূড়ান্ত সুপারিশের পর পুলিশ ভেরিফিকেশন কার্যক্রমে আটকে আছে এ নিয়োগ প্রক্রিয়া।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে অনেক দিন কোনো নিয়োগ হচ্ছে না। সেটি বিবেচনায় রেখে ৫৪ হাজারের বৃহৎ নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছি। এর মধ্য থেকে ৩৮ হাজার যোগ্যপ্রার্থীকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। আমরা চাই যোগ্যতা ও নিখুঁত প্রক্রিয়ায় শিক্ষকরা এ পেশায় আসুক। তাই তাদের ভেরিফিকেশন করা হচ্ছে।

ঠিক কবে নাগাদ এ ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া শেষ হতে পারে এমনটা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। যেহেতু এটি অন্য মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি কাজ সেটা তাদের বিষয়। তবে আমরা তাড়াতাড়ি এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার তাগিদ দেবো। ভেরিফিকেশন প্রতিবেদন পেলে দ্রুত সময়ে নিয়োগ দেওয়া হবে।

এর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বেসরকারি শিক্ষকদের পুলিশ ভেরিফিকেশনের কাজ শুরু হয়েছে। দ্রুতই শেষ করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। মুজিব শতবর্ষের মধ্যেই ভেরিফিকেশন কার্যক্রম শেষ করার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এনটিআরসিএ এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে।

চলতি বছরের ৩০ মার্চ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। ৫৪ হাজার ৩০৪টি শূন্যপদের বিপরীতে ৪ এপ্রিল থেকে আবেদন নেওয়া হয়। ১ থেকে ১২তম নিবন্ধনের রিটকারীদের জন্য দুই হাজার ২০০টি পদ সংরক্ষণ করে ৫১ হাজার শিক্ষক নিয়োগের উদ্যোগ নেয় এনটিআরসিএ। তবে ৮ হাজার ৪৪৮টি পদে কোনো আবেদন না পাওয়ায় এবং ৬ হাজার ৭৭৭টি নারী কোটা পদে প্রার্থী না থাকায় মোট ১৫ হাজার ৩২৫টি পদে বাকি রেখে ৩৮ হাজার ২৮৬ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। সুপারিশপ্রাপ্তদের মধ্যে ৬ হাজার ৩ জন ‘ভি’ রোল ফরম পূরণ করে না পাঠানোয় ৩২ হাজার ২৮৩ জনের পুলিশ ভেরিফিকেশন চলমান।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!