ঢাকা : চলতি বছর প্রাথমিকের কোনো শ্রেণিতে বার্ষিক পরীক্ষা হচ্ছে না। এছাড়াও হবে না সমাপনী পরীক্ষা। তবে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান তাদের শিক্ষার্থীদের পরবর্তী ক্লাসের জন্য মূল্যায়ন করবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, গত মাসের ২৬ অক্টোবর মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে সভা হয়। এরপর গেল ৩ তারিখে এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির সব শিক্ষার্থীরই বার্ষিক পরীক্ষা নেয়া হবে না। তবে প্রতিষ্ঠান তাদের নিজস্ব পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের পরের ক্লাসের জন্য মূল্যায়ন করবে।
কিভাবে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আবু বকর সিদ্দিক জানান, এই বিষয়টি এখন আর মন্ত্রণালয় দেখবে না। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের বিষয়টি দেখভাল করবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এক কমকর্তা বলেন, শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের জন্য আমরা ফরমেটিভ অ্যাসেসমেন্ট এ যাবো। এ বিষয়ে আমাদের ডিজাইনও হয়ে গেছে। বিদ্যালয় মূল্যায়ন করবে। আমরা ছোটবেলায় যখন স্কুলে পড়তাম বাড়ির কাজের মাধ্যমে শিক্ষকরা মূল্যায়ন করতো। ঠিক সেভাবেই শিক্ষার্থীদের যে বাড়ির কাজ, অ্যাসাইনমেন্ট, ওয়ার্কশিট দিয়েছি এর ভিত্তিতেই মূল্যায়ন করা হবে। প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত এভাবেই মূল্যায়ন করে পরবর্তী শ্রেণিতে উঠানো হবে।
এক্ষেত্রে পিইসি পরীক্ষার্থীদের কি হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এবারো পিইসি পরীক্ষা হবে না। তবে মূল্যায়নের ভিত্তিতেই তাদেরকে সার্টিফিকেট দেয়া হবে। খুব সম্ভবত দু-একদিনের মধ্যেই ম্যাকানিজমটা আমরা করে ফেলবো।
শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন ফল কবে প্রকাশ করা হবে জানতে চাইলে প্রাথমিক অধিদপ্তরের এ কর্মকর্তা বলেন, ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত প্রাথমিকে ক্লাস নেয়া হবে। শিক্ষার্থীরা যেহেতু ক্লাসের সুযোগ পাইনি সে কারণে ৮৯ দিন আমরা কাজে লাগাতে চাই। আশা করছি চলতি বছরের ডিসেম্বরে শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করবে স্ব স্ব প্রাথমিক বিদ্যালয়।
সোনালীনিউজ/এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :