ঢাকা : মাদকের ভয়াল থাবা থেকে দেশ-জাতি তথা ভবিষ্যত করে রক্ষায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের ডোপ টেস্টের আওতায় আনার সুপারিশ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
একইসাথে সরকারি সংস্থার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ও কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ডোপ টেস্ট করার সুপারিশ করা হয়েছে।
গত ৩ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়েছে। গত রোববার কমিটির সভায় ওই কার্যবিরণী অনুমোদন দেওয়া হয়। সম্প্রতি কার্যবিবরণীটি প্রকাশ পেয়েছে।
জানা গেছে, ৩ অক্টোবরের সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি মো. শামসুল হক টুকু। বৈঠকে কমিটির সদস্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন, পীর ফজলুর রহমান, নূর মোহাম্মদ এবং বেগম রুমানা আলী অংশ নেন।
এ সভাতে র্যপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, কক্সবাজার এলাকার বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষকরাও মাদকের কারবারে জড়িত। স্থানীয় এই ব্যক্তিরা একে পার্টটাইম ব্যবসা হিসেবে মনে করেন।
কমিটির সভাপতি শামসুল হক টুকু বৈঠকে বলেন, ডোপটেস্ট চালুর কারণে মাদকাসক্তরা ইদানিং সতর্ক হচ্ছে। এমপি-মন্ত্রী, রাজনীতিবিদ, বিচারপতি, আইনজীবী, সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষক সর্বক্ষেত্রে ডোপটেস্ট চালু রাখার বিষয়টি বিবেচনা করা প্রয়োজন। ডোপ টেস্টের কারণে সন্তান বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে না পারলে সমাজের সবাই সচেতন হবেন।
বৈঠকে সাত দফা সুপারিশ করা হয়। সেগুলোর মধ্যে আছে,আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সকল সরকারি সংস্থা বা দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারী, বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের ছাত্র-শিক্ষক কর্মচারীদের নিয়মিত ডোপ টেস্টের আওতায় আনতে হবে।
সভার অন্যান্য সুপারিশগুলো হলো, নারীর প্রতি সহিংসতা, বাল্য বিয়ে রোধ, যৌন হয়রানী ও ধর্ষণ বন্ধে দেশের প্রতিটি থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে একজন নারী কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিতে হবে। মাদক নিয়ন্ত্রণে সীমান্তে কড়া নজরদারী, মাদক সংশ্লিষ্ট সীমান্তে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধিসহ মাদকের বিরুদ্ধে সচেতনতা কার্যক্রমগুলো আরও বেশি দৃশ্যমান করতে হবে। বাল্য বিবাহ বন্ধে গ্রামভিত্তিক সচেতনতা কার্যক্রম চালু করতে হবে।
ইভটিজিং ও ধর্ষণ বন্ধে আইন শৃংখলা বাহিনীকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। স্কুল-কলেজ এলাকায় ছাত্রীদের চলাচলের পথে বখাটেদের উৎপাত বন্ধে সিসি ক্যামেরা ও পুলিশের কঠোর নজরদারী বাড়াতে হবে। ৯৯৯ নম্বরকে আরও বিস্তৃত ও গতিশীল করতে হবে এবং কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রমকে আরও বেগমান করতে হবে।
সোনালীনিউজ/এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :