• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১

পিছিয়ে পড়া কড়া সম্প্রদায়ের ‘লাপোল’ প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র 


জাককানইবি প্রতিনিধি জানুয়ারি ৯, ২০২২, ০২:২৩ পিএম
পিছিয়ে পড়া কড়া সম্প্রদায়ের ‘লাপোল’ প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র 

ছবি : সংগৃহীত

জাককানইবি : জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে স্মাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লাপোল কড়া। তিনি মেধাতালিকায় ১৫তম হয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।

এর মাধ্যমে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কড়া সম্প্রদায়ের প্রথম কেউ উচ্চশিক্ষার গণ্ডিতে প্রবেশ করলেন। বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগে ভর্তির জন্য ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশ নেন তিনি।

লাপোলের আগে কড়া সম্প্রদায়ের কেউ মাধ্যমিকের গণ্ডিও পেরোতে পারেননি। নানা প্রতিকূলতার কারণে কড়া সম্প্রদায়ের মাত্র ২৮টি পরিবার এখন বাংলাদেশে টিকে আছে। শ খানেক মানুষের এই সম্প্রদায়টি সরকার স্বীকৃত ৫০টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর একটি। অবহেলিত কড়া সম্প্রদায়ের পাশে দাঁড়াতে উচ্চ শিক্ষার লড়াইয়ে অবিচল লাপোল কড়া।

কড়া সম্প্রদায়ের বসবাস বাংলাদেশের উত্তরের জনপদ দিনাজপুরে। এ সম্প্রদায়ের ২৪টি পরিবার দিনাজপুরের বিরল উপজেলায় ও আর চারটি পরিবার জেলা সদরে কোনোরকমে টিকে আছে। নানা সংকটে বিলুপ্তির পথে কড়া সম্প্রদায়।

লাপোল কড়া বিরল উপজেলার রানীপুকুর ইউনিয়নের রাঙ্গন গ্রামের রতন কড়ার ছেলে। কড়াদের মধ্যে লাপোলই প্রথম গতবছর এইচএসসি পাস করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিযুদ্ধে অংশ নেন। ওই সম্প্রদায়ের ১০৪ জন সদস্যের মধ্যে লাপোল স্থানীয় রাঙ্গন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে সমাপনী, হালজায় উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও বোর্ড হাট মহাবিদ্যালয় থেকে এইচএসসি পাস করেন।

ব্যবহারিক পরীক্ষার পর প্রকাশিত চূড়ান্ত মেধাতালিকায় দেখা যায়, লাপোলের অবস্থান ১৫তম। তিনি এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৩.৩৩ এবং এইচএসসিতে ৩.৫৮ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। বৃহস্পতিবারের ব্যবহারিক পরীক্ষায় ১০০-এর মধ্যে ৯০ পেয়েছে লাপোল।

মেধাতালিকায় ১৫তম হয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়ে লাপোল কড়া তার অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, ‘নাট্যকলা বিভাগে ১৫তম হয়েছি। আজ চেনা অনূভুতিগুলো যেন অন্যরকম অনুভূত হচ্ছে। মনে হচ্ছে আজ যেন জীবনের সূর্যোদয় হয়েছে।’

নাট্যকলা বিভাগের ব্যবহারিক পরীক্ষায় উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় প্রধান মো. আল জাবির। তিনি বলেন, ‘তার পারফরম্যান্স অসাধারণ ছিল। ভালো করেছে সে। কড়া একটি পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়। সেখান থেকে এখানে আসতে তাকে অনেক টানাপড়েনের শিকার হতে হয়েছে। অবশেষে সে সব জয় করেছে। তাকে পেয়ে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত।’

সোনালীনিউজ/এসএন

Wordbridge School

শিক্ষা বিভাগের আরো খবর

Link copied!