ঢাকা : অবশেষে চল্লিশ দিন পর তুলে দেওয়া হলো করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে দেওয়া ১১ দফা বিধিনিষেধ। একই সঙ্গে খুলে দেওয়া হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে বিধিনিষেধ উঠলেও মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি, বাধ্যতামূলকভাবে পরতে হবে মাস্ক।
মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে দেশে অফিস-আদালত, ব্যবসা-বাণিজ্য, পর্যটনকেন্দ্র ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে যাওয়ায় সবার মাঝে ছিল স্বস্তি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, করোনাভাইরাসের প্রথম দুই ঢেউ যেভাবে আতংক ছড়িয়েছে, সে রকম হয়নি তৃতীয় ঢেউ। ব্যাপক সংক্রমণ হলেও তুলনামূলক কম প্রাণঘাতী বলে করোনার ওমিক্রন নিয়ে ভীতি বেশ কম। যেভাবে দ্রুতগতিতে সংক্রমণ ছড়িয়েছে, তেমনই দ্রুতগতিতে নিয়ন্ত্রণের পথে। ওমিক্রনের ধরন ডেল্টা ধরনের চেয়ে তুলনামূলক দুর্বল। আক্রান্তদের মধ্যে শারীরিক জটিলতা কম থাকায় মৃত্যু কম। একই সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রবণতা অনেক কম ছিল।
গত ৭ জানুয়ারি নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৫ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়। পরে তৃতীয় ঢেউ ছড়ানোর যে আশঙ্কা করা হয়েছিল, সেটি ২০ জানুয়ারি বাস্তবে রূপ নেয়। এরপর আরো আট দিন শনাক্তের হার থাকে ঊর্ধ্বমুখী। একপর্যায়ে তা ৩৩ শতাংশ ছাড়িয়ে রেকর্ড গড়ে ২৮ জানুয়ারি। ৩০ দিনের মধ্যে সংক্রমণ কমে ৬ শতাংশের ঘরে প্রবেশ করেছে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সপ্তাহের মধ্যে ৫ শতাংশের নিচে আসবে। আগামী মাসে প্রথম সপ্তাহে এই ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসবে ধারণা করা হচ্ছে।
জাতীয় রোগতত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআরের উপদেষ্টা ও প্রতিষ্ঠানটির সাবেক বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মুশতাক হোসেন বলেন, বিধিনিষেধ উঠলেও কঠোরভাবে মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি। দেশে একজন করোনা রোগী থাকা পর্যন্ত করোনা নিয়ন্ত্রণে এসেছে এটা বলা যাবে না।
আর আশা, এই মাসের মধ্যেই করোনা সংক্রমণের হার হয়তো ৫ শতাংশের নিচে চলে আসবে, তবে আমাদের সাবধান থাকতে হবে। সবাইকে টিকা নিতে হবে। যারা নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের সুচিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে, তাদের মাধ্যমে যেন অন্যরা আক্রান্ত না হন।
জনস্বাস্থ্যবিদ আবু জামিল ফয়সাল বলেন, তৃতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসার পর আরেকটি ঢেউ আসবে না, এটা বলা যাবে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যত দিন না বলবে পৃথিবী থেকে করোনা চলে গেছে, তত দিন আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে, মাস্ক পরতে হবে। সামাজিক দূরুত্ব নিশ্চিত করতে হবে।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘আস্তে আস্তে জনজীবন স্বাভাবিক হবে। এই মাসের মধ্যে ৭০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনা সম্ভব হবে। করোনা পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। নতুন করে কোনো বিধিনিষেধ দেওয়ার চিন্তা নেই সরকারের। টিকা ও স্বাস্থ্যবিধি মানার ওপরে জোর দিতে হবে।’
দীর্ঘ এক মাস পর গতকাল মঙ্গলবার থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শুরু হয়েছে সশরীর ক্লাস। ঘরবন্দি জীবন থেকে মুক্তি পেয়ে শিক্ষার্থীরাও তাই মেতেছিল খুশির আমেজে। স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন অভিবাবক ও শিক্ষকরাও।
একইসঙ্গে তুলে দেওয়া হয়েছে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে দেওয়া সরকারের ১১ দফা বিধিনিষেধ। তবে বিধিনিষেধ উঠলেও মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি, বাধ্যতামূলকভাবে পরতে হবে মাস্ক।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে অনুসরণ করতে হবে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) দেওয়া ২০ টি গাইডলাইন। প্রথম দফায় গতকাল মঙ্গলবার খুলেছে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। আগামী ২ মার্চে খুলবে প্রাথমিক বিদ্যালয়।
এদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দিনেই গতকাল দেশের ৬২টি মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হয়েছে নতুন শিক্ষাক্রম।
এদিকে গতকাল সকাল থেকেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ছিল শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের সরব উপস্থিতি। ছাত্র-ছাত্রীদের কলতানে মুখরিত ছিল ক্যাম্পাসগুলো। সবার মধ্যেই ছিল খুশির ঝিলিক।
মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী নাহিদ হোসেন জানায়, স্কুলে ফিরতে পেরে তার খুব ভালো লাগছে। কারণ, স্কুলে ক্লাস হলে পড়াশোনা বেশি হয়। বাসায় ততটা পড়াশোনা হয় না। এর মধ্যে বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হওয়ায় আরো ভালো লাগছে।
রাজধানীর মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী সৈয়দা তাসফিয়া তাবাসসুম বলে, অনেক দিন পর শ্রেণিকক্ষে ফিরতে পেরে তার খুবই ভালো লাগছে। করোনার কারণে ঘরবন্দি জীবন শেষে শ্রেণিকক্ষে ফিরতে পারায় তাদের মতো অন্য শিক্ষার্থীরা বেশ খুশি।
একাধিক বিদ্যালয়ে ঘুরে দেখা গেছে, বিদ্যালয়গুলোতে খুব একটা ভিড় নেই। এর কারণ, সব শ্রেণিতে প্রতিদিন সশরীর ক্লাস হচ্ছে না। এখন শুধু এ বছরের এসএসসি পরীক্ষার্থী ও নতুন করে দশম শ্রেণিতে উঠা শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে ছয় দিন ক্লাস হবে। অষ্টম ও নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য সপ্তাহে দুদিন এবং ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য সপ্তাহে এক দিন করে সশরীর ক্লাস হবে।
মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে যে শিক্ষার্থীরা করোনার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছে, তারাই কেবল শ্রেণিকক্ষে যেতে পারছে। এদিকে মাধ্যমিক পর্যায়ে ক্লাস শুরু হলেও ১২ বছরের কম বয়সী প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হবে ২ মার্চ থেকে।
তবে যেহেতু ১২ বছর বয়সীদের টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে, সে হিসেবে ষষ্ঠ শ্রেণির সব শিক্ষার্থী এখনো টিকা না নেওয়ায় পুরোপুরিভাবে সশরীরে ক্লাস নেওয়ার ক্ষেত্রে বিপত্তি দেখা দিয়েছে। আবার ষষ্ঠ শ্রেণির যেসব শিক্ষার্থীর বয়স এখনো ১২ বছরের কম, তাদের বিষয়ে স্পষ্ট কোনো নির্দেশনাও নেই। খুব স্বাভাবিকভাবেই টিকা দিতে না পারা শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিয়ে অসুবিধার মুখোমুখি হতে হবে।
জানা গেছে, দেশে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত (১২ বছরের বেশি বয়সী) মোট শিক্ষার্থী প্রায় ১ কোটি ২৮ লাখ। মাউশির এডুকেশন ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের (ইএমআইএস) এক কর্মকর্তা জানান, প্রথম ডোজ টিকা নেওয়া হয়ে গেছে প্রায় সবার। আর দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছে ৫০ লাখের মতো শিক্ষার্থী।
এদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার তাগিদ দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, করোনার কারণে আবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে চাই না। এ জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। একই সঙ্গে অভিভাবক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সচেতন থাকতে হবে। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে (এনসিটিবি) নতুন শিক্ষাক্রমের পরীক্ষামূলক কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করতে সবাইকে গাইডলাইন মেনে চলতে হবে বলে জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। গত রোববার মাউশি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ ২০ নির্দেশনা দিয়ে এ বিষয়ে একটি আদেশ জারি করেন।
মাউশির গাইডলাইনে বলা হয়েছে-শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যেসব শিক্ষার্থী কোডিড-১৯ টিকার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছে সেসব শিক্ষার্থী সশরীরে শ্রেণি কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারবে; শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রবেশমুখসহ অন্য স্থানে কোডিড-১৯ অতিমারি সম্পর্কিত সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে করণীয় বিষয়সমূহ ব্যানার বা অন্য কোনো উপায়ে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা; শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রবেশপথে সব শিক্ষক-কর্মচারী-শিক্ষার্থী-অভি ভাবকদের তাপমাত্রা পরিমাপক যন্ত্রের মাধ্যমে নিয়মিত তাপমাত্রা মাপা ও তা পর্যবেক্ষণ করার ব্যবস্থা করা; শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি বিবেচনায় অনলাইন/ভার্চুয়াল প্ল্যাটফরম-এ শিখন-শেখানো কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে; শিক্ষার্থীদের জন্য বিতরণকৃত অ্যাসাইনমেন্টসমূহের কার্যক্রম যথারীতি অব্যাহত থাকবে।
শিক্ষার্থীদের ক্লাস রুটিন ইতোপূর্বে প্রেরিত নির্দেশনা মোতাবেক প্রণয়ন করতে হবে; শিক্ষার্থীদের ভিড় এড়ানোর জন্য প্রতিষ্ঠানের সবগুলো প্রবেশ/প্রস্থান মুখ ব্যবহার করার ব্যবস্থা করা। যদি মাত্র একটি প্রবেশ/প্রস্থান মুখ থাকে সেক্ষেত্রে একাধিক প্রবেশ/প্রস্থান মুখের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করা; প্রতিষ্ঠান খোলার প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের আনন্দঘন পরিবেশে শ্রেণি কার্যক্রমে স্বাগত জানানোর ব্যবস্থা করা; প্রতিষ্ঠান খোলার প্রথম দিন শিক্ষার্থীরা কিভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিষ্ঠানে অবস্থান করবে এবং বাসা থেকে যাওয়া আসা করবে সেই বিষয়ে তাদেরকে শিক্ষাণীয় ও উদ্বুদ্ধকারী ব্রিফিং প্রদান করার ব্যবস্থা করা; প্রতিষ্ঠানের একটি কক্ষ প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থাসহ আইসোলেশন কক্ষ হিসেবে প্রস্তুত রাখা; প্রতিষ্ঠানের সব ভবনের কক্ষ, বারান্দা, সিঁড়ি, ছাদ এবং আঙিনা যথাযথভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার ব্যবস্থা করা; প্রতিষ্ঠানের সব ওয়শরুম নিয়মিত সঠিকভাবে পরিষ্কার রাখা এবং পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা রাখা। প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মচারী, অভিভাবকসহ অন্য কেউ প্রবেশ/অবস্থান/প্রস্থানের সময় সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে প্রতিপালন করা; প্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারী এবং অন্য কেউ সঠিকভাবে মাস্ক পরিধান করার বিষয়টি নিশ্চিত করা; প্রতিষ্ঠানে সাবান বা হ্যান্ডওয়াশ দ্বারা হাত ধোঁয়ার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা; শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের বসার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করা।
এক্ষেত্রে পারস্পরিক ৩ (তিন) ফুট শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার ব্যবস্থা করা; শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের খেলার মাঠ, ড্রেন ও বাগান যথাযথভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা এবং কোথাও পানি জমে না থাকে তা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করা: প্রতিষ্ঠানসমূহে শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির সংখ্যা নিরূপণ করা। প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে আনন্দঘন শিখন কার্যক্রমের মাধ্যমে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালিত করা; প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি ও অভিভাবকদের সাথে সভা করে এতদসংক্রান্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
২০২০ সালে ৮ মার্চ দেশে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর ক্রমেই করোনা বাড়তে বাড়তে জুন-জুলাইয়ে ওঠে সর্বোচ্চ পর্যায়ে। শীতে আরো বাড়বে-এমন আশঙ্কা থাকলেও গত বছরের ডিসেম্বর থেকে সংক্রমণ ক্রমেই কমতে থাকে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ভাইরাসটির ওমিক্রন ধরন সংক্রমণ বাড়াতে থাকে। ১১ জানুয়ারি সরকার ১১ দফা বিধিনিষেধ দেয়। যদিও এবারের বিধিনিষেধ কাগজে-কলমেই ছিল, বাস্তবে তেমন কিছু চোখে পড়েনি।
করোনার সংক্রমণের কারণে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছিল সরকার। দীর্ঘ ১৮ মাস পর গত বছরের সেপ্টেম্বরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলেছিল। কিন্তু নতুন করে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ২১ জানুয়ারি থেকে আবারও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করেছিল সরকার, গতকাল সোমবার যা শেষ হয়।
সোনালীনিউজ/এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :