ঢাকা : সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৫৫ জনের আবেদনসহ ফলাফল বাতিল করা হয়েছে। তারা অনলাইনে আবেদনের সময় জালিয়াতির আশ্রয় নেওয়াসহ তথ্য গোপন করেন। অনেকের কাঙ্ক্ষিত যোগ্যতা ছিল না।
শুক্রবার (১ জুলাই) জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নিখিল চন্দ্র হালদার এ তথ্য নিশ্চিত করেন। আর এই ঘটনাটি হয়েছে ভোলায় ।
গেল মাসে লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে পাশ করেন তিন হাজার ৩৭৩ জন। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে উত্তীর্ণদের যোগ্যতার মূল সনদপত্রসহ ২৯ জুনের মধ্যে সশরীরে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের দপ্তরে কাগজপত্র যাচাই বাছাই করার জন্য বলা হয়। আর এ সময় ৫৫ জনের অনিয়মের তথ্য প্রকাশ পায়। এদের তালিকা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে পাঠানো হয়েছে।
বাতিল হওয়াদের মধ্যে ভোলা জেলা সদরের রয়েছেন শরীফুল ইসলাম ও হাসান মাহমুদ জিহাদের স্নাতক পাশের সনদে দ্বিতীয় বিভাগ ছিল না। দৌলতখান উপজেলায় বাতিল হয়েছে তিনজন। বোরহানউদ্দিনে বাতিল হয়েছে ১২ জন। তজুমদ্দিন উপজেলায় বাতিল হয়েছে ১০ জন। লালমোহন উপজেলায় ১৩ জন।
জেলা শিক্ষা অফিসার জানান, অনলাইনে আবেদন করায় এসব ব্যক্তি লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। মৌখিক পরীক্ষার আগে সনদ যাচাইয়ে তাদের তথ্য গোপনের জালিয়াতি ধরা পড়ে। তবে এদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। কেবল আবেদন বাতিল করা হয়েছে।
সোনালীনিউজ/এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :