ঢাকা : দেশে বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩৭ হাজারেরও বেশি শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। এর মধ্যে প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদের সংখ্যা ২৯ হাজার ৮৫৮। বর্তমানে দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক শিক্ষার্থীর অনুপাত ১:৩৪।
অর্থাৎ, দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে গড়ে ৩৪ জন শিক্ষার্থীকে পাঠদানের জন্য রয়েছেন একজন করে শিক্ষক।
শিক্ষকের ঘাটতি পূরণ করতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই) চায় ঈদের পরই ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে। ডিপিই চায় আগস্টে লিখিত পরীক্ষা নিতে।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে তিনটি বিভাগের (রংপুর, বরিশাল ও সিলেট) শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। পরের মাসে প্রকাশ করা হয় আরও তিনটি বিভাগের (খুলনা, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ) বিজ্ঞপ্তি। এই ছয় বিভাগে প্রাক প্রাথমিক ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য আবেদন চাওয়া হয়। তবে এখনো বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়নি ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের। এই দুই বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের অপেক্ষায় আছেন চাকরি প্রত্যাশীরা।
এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ইতিহাসের সবথেকে বৃহৎ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শিক্ষকরা যোগদান করেন।
এই বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দেশব্যাপী ৩৭ হাজারের অধিক শিক্ষক নিয়োগ পান। নিয়োগের পরও দেশব্যপী শিক্ষক সংকট রয়েই যায়। এর পরপরই নতুন করে বিভাগ-ভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। প্রতিটি বিভাগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলেও দেয়া হয়নি ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি। ডিপিই সূত্রে জানা যায়, সাত হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে এই সময়ে নতুন করে অবসরে যাওয়া শিক্ষকরা এই তালিকায় যুক্ত হতে পারেন। এই সংখ্যা শেষ পর্যন্ত ১৫ হাজারের অধিক হতে পারে।
ডিপিই’র নিয়োগ সংক্রান্ত বিভাগে গিয়ে জানা যায়, ৩৭ হাজার শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে বিচ্ছিন্ন কিছু সমালোচনা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। তাই একই মডেলে তারা এবারের শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষাও নিতে চান। আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চলতি বছরের জুন মাসে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু সেটি সম্ভব হয়নি তাই ডিপিই চায় কোরবানির ঈদের পরই নিয়োগ পরীক্ষা নিতে।
ডিপিই পলিসি এবং অপারেশন বিভাগের পরিচালক মনীষ চাকমা বলেন, এ দুই বিভাগে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি নিয়ে শিগগিরই সিদ্ধান্ত হবে। এরপর আমরা দ্রুত পরীক্ষা নিতে চাই। এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত বলেন, লিখিত পরীক্ষা কবে নেয়া হবে এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে আমরা চাই দ্রুত নিয়োগ পরীক্ষা নিতে। তিনি জানান, এবারের নিয়োগ পরীক্ষাও পূর্বের মতো বিভাগওয়ারী নেয়ার পরিকল্পনা চলছে।
সোনালীনিউজ/এমটিআই