ঢাকা: ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের আজিমপুর শাখার সামনে শিক্ষক মুরাদ হোসেন সরকারের শাস্তির দাবিতে গত রবিবার মানববন্ধন করেন ছাত্রী ও অভিভাবকরা কোচিং করাতে পারবেন না ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের কোনো শিক্ষক।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরী।
কেকা রায় চৌধুরী বলেন, এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষক কোচিং করাতে পারবেন না। আর অভিযুক্ত শিক্ষককে কারণ দর্শানোর চিঠি দেওয়া হবে। উচ্চতর কমিটি ১০ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এদিকে, ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগে করা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের আজিমপুর শাখার শিক্ষক মুরাদ হোসেন সরকারের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকী-আল-ফারাবী শুনানি শেষে এ রিমান্ড আদেশ দেন।
মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা, লালবাগ থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ফাইয়াজ হোসেন আসামিকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।
এর আগে গতকাল সোমবার রাত দেড়টার দিকে রাজধানীর কলাবাগানের বাসা থেকে শিক্ষক মুরাদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গতকাল সন্ধ্যায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির এক ছাত্রীর মা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০ ধারায় মুরাদ হোসেনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগে রাজধানীর লালবাগ থানায় মামলা করেন। রাতেই ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির জরুরি সভায় মুরাদ হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মামলার পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার আগে গত রবিবার মুরাদ হোসেন সরকারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের আজিমপুর ক্যাম্পাসের ফটকে বিক্ষোভ করেন ছাত্রী ও অভিভাবকরা। অভিভাবক ও ছাত্রীদের অভিযোগ, অভিযুক্ত ওই শিক্ষক কোচিংয়ে পড়ানোর সময় ছাত্রীদের যৌন হয়রানি করেন।
এর আগে একই প্রতিষ্ঠানের বসুন্ধরা শাখার এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২০১৫ সালের ২৫ নভেম্বর প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক পরিমল জয়ধরের যাবজ্জীবন কারাদন্ডের রায় দিয়েছিলেন ঢাকার চার নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ওই ছাত্রীকে প্রলোভন দেখিয়ে ২০১১ সালের ২৮ মে ধর্ষণ করে শিক্ষক পরিমল জয়ধর। ওই সময় ওই ছাত্রীর নগ্ন ছবি মোবাইলে ভিডিও করা হয়। পরে ওই ভিডিও বাজারে ছাড়ার কথা বলে ওই বছরের ১৭ জুন ফের ধর্ষণ করে।
এমএস