ইবি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের তিন শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্রে ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপ পেয়েছেন। তারা তিনজন পরস্পর পরস্পরের বন্ধু। এরমধ্যে মামুনুর রশিদ ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাসে ফিন্যান্স নিয়ে পিএইচডির জন্য মনোনীত হয়েছেন, নাঈম হোসেন ইউনিভার্সিটি অফ নিউ ওরল্যান্সে ফিন্যান্সিয়াল ইকোনোমিকস এ মনোনীত হয়েছেন এবং সুমন আলী এল পাসো এর ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাসে ফিন্যান্স নিয়ে পিএইচডি করার জন্য মনোনীত হয়েছেন।
কে জানতো তাদের বন্ধুত্বের জয়জয়কার একদিন ক্যাম্পাসে প্রস্ফুটিত হবে? ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে এক চমকপ্রদ ঘটনার জন্ম দিয়েছেন তারা। একইসঙ্গে তিনজনে যুক্তরাষ্ট্রে ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপ পেয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন সারাদেশে। সবচাইতে আশ্চর্যের বিষয় হলো স্নাতক সম্মান শ্রেণিতে তাদের তিনজনের একই রেজাল্ট এবং একইসঙ্গে তিনজন একই দেশে স্কলারশিপ অর্জন করেন। দেশে এমন ঘটনা বিরল।
এমন সফলতার পিছনের রহস্য বলতে গিয়ে তারা বলেন, আমরা তিন বন্ধু সপ্তাহে ২-৩ বার জুমে মিটিং করতাম। ২০২১ সালের জুনের দিকে আমাদের গবেষণাপত্র প্রথম প্রকাশিত হয়। গবেষণাপত্র প্রকাশিত হলে আমরা আরও বেশি উৎসাহ নিয়ে কাজ করা শুরু করি। তবে মাঝে-মধ্যেই ভেঙে পড়তাম। কিন্তু ড. বখতিয়ার স্যারের কথায় আবার আমরা উদ্যমী হয়ে উঠতাম। প্রচুর আনন্দ নিয়ে কাজ করতাম। এই অর্জনের পিছনে স্যারই আমাদের স্বপ্নদ্রষ্টা ছিলেন।
তারা আরও বলেন, বখতিয়ার হাসান স্যার আমাদেরকে হাতেকলমে গবেষণা শিখিয়েছেন। আমরা শপথ করে বলতে পারি স্যারের মতো এমন সুপারভাইজার পাওয়া দুষ্কর। তার অক্লান পরিশ্রম, সহযোগিতা ও একান্ত চাওয়ায় আমরা দেশি ও আন্তর্জাতিক মানের গবেষকদের সাথে গবেষণা করার সুযোগ পাব। স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা আমাদের নেই। সবচেয়ে মজার বিষয়, আমরা যখন ড. বখতিয়ার স্যারের পাবলিকেশন দেখতাম, তখন তিনজন আলোচনা করতাম আমারাও একদিন স্যারের সাথে পাবলিকেশন করবো।
অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে তারা বলেন, ‘আমাদের বিভাগ ও পরিবারের জন্য এই সাফল্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমরা অত্যান্ত আনন্দিত। তবে তিনবন্ধু একসঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করব ভাবিনি। এ ভেবে ভালো লাগছে যে আমরা তিন বন্ধু একইসঙ্গে এমন সাফল্য পেয়েছি।
প্রসঙ্গত, ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির মধ্য দিয়েই তাদের তিন বন্ধুর পথচলা শুরু। শুরু থেকেই পড়াশোনা, গবেষণা থেকে শুরু করে বিভিন্ন একাডেমিক কার্যক্রমে তাদের সাড়া জাগানো পদার্পণ ছিল। অধ্যাপক ড. বখতিয়ার হাসানের সহায়তায় ‘Hasan's research lab’ নামে একটি ল্যাব প্রতিষ্ঠা করে একসঙ্গে গবেষণার কাজে এগুতে থাকেন তারা। করোনা মহামারির সময়ও থেমে থাকেনি তাদের কার্যক্রম। সে সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে বাসা ভাড়া নিয়ে গবেষণার কাজ চালিয়ে যান তিন বন্ধু। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো স্নাতক সম্মান শ্রেণিতে তাদের তিনজনেরই রেজাল্ট একই এবং তিনজনই একই দেশ তথা যুক্তরাষ্ট্রে ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপে মনোনীত হয়েছেন।
এমএস
আপনার মতামত লিখুন :