ঢাকা: শিক্ষাবর্ষ জানুয়ারি মাসে শুরু হয় এবং বার্ষিক পরীক্ষার মাধ্যমে ডিসেম্বরে শেষ হয়। নবম শ্রেণি পর্যন্ত এই ধারা বজায় থাকলেও প্রচলিত বিধান অনুসারে দশম শ্রেণি শেষে এসএসসি নেওয়া হয় পরের বছর ফেব্রুয়ারিতে কিংবা পরিস্থিতি অনুযায়ী আরও পরে। নতুন শিক্ষাকারিকুলামে এই বিলম্বে পরীক্ষা গ্রহণ আর থাকছে না। তাতে এসএসসি পরীক্ষা হবে শিক্ষাবর্ষের শেষ মাস অর্থাৎ ডিসেম্বরে। অর্থাৎ যে শিক্ষাবর্ষে অধ্যয়ন শেষ হবে, পরীক্ষাও সেই শিক্ষাবর্ষেই অনুষ্ঠিত হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এ প্রসঙ্গে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম বলেন, এসএসসি পরীক্ষা নিয়ে বেশ কিছু নতুন সিদ্ধান্ত আসতে যাচ্ছে নতুন কারিকুলামে। সেখানে পরীক্ষার সময় বাড়ার পাশাপাশি পরীক্ষা সময়ও পরিবর্তন হতে পারে। সব কিছু আরেকটি বৈঠকে চূড়ান্ত হওয়ার পর সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হবে। তিনি জানান, মূল্যায়ন নির্দেশনা ঠিক করতে আগামী ২৭ তারিখ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। সেখান থেকে চূড়ান্ত হতে পারে নতুন কারিকুলামে মূল্যায়ন পদ্ধতি।
বর্তমানে প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাসে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। কোভিড ১৯-এর প্রভাবে এই সূচির পরিবর্তন হলেও চার বছর সেই পুরনো রুটিনে ফিরেছে এসএসসি পরীক্ষার সময় ফেব্রুয়ারি মাস। প্রায় দুই দশক আগে এসএসসি ও এর সমমান পরীক্ষা মার্চ-এপ্রিল মাসেও অনুষ্ঠিত হতো।
পরীক্ষার সময় পরিবর্তন প্রসঙ্গে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, বছরের শুরুতেই এসএসসি পরীক্ষা না নিয়ে বছরের শেষে নিলে শিক্ষার্থীরা শিক্ষাবর্ষ পুরোপুরি ব্যবহার করতে পারবে। এসব দিক বিবেচনায় ফেব্রুয়ারির পরিবর্তে এসএসসি পরীক্ষা ডিসেম্বর নেওয়ার সুপারিশ রয়েছে। তবে তা এখনো চূড়ান্ত না। চলতি মাসে চূড়ান্ত বৈঠকের পর তা বলা যাবে।
জানা গেছে, নতুন শিক্ষাক্রমে এসএসসি পরীক্ষা হবে ২০২৬ সালে। নতুন কারিকুলামে শুধু দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের ওপর ভিত্তি করে এই এসএসসি পরীক্ষা নেওয়া হবে। সেখানে লিখিত মূল্যায়নে ওয়েটেজ ৬৫ শতাংশ এবং কার্যক্রমভিত্তিক মূল্যায়নের ওয়েটেজ ৩৫ শতাংশ। পুরো পরীক্ষা হতে পারে ৫ ঘণ্টাব্যাপী। এসব নতুন পদ্ধতি ঠিক করে প্রায় চূড়ান্ত করা হয়েছে পরীক্ষা পদ্ধতি। আগামী ৩১ মের মধ্যে তা চূড়ান্ত করা হচ্ছে। এ নিয়ে কাজ করছে নতুন কারিকুলাম নিয়ে গঠিত উচ্চ পর্যায়ের কমিটি।
এমএস
আপনার মতামত লিখুন :