ঢাকা : বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় সিলেট বিভাগের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আর পেছানো হবে না। আগামী ৯ জুলাই থেকে যে পরীক্ষাগুলো হওয়ার কথা ছিলো, সেগুলো আগের রুটিন অনুযায়ী যথারীতি অনুষ্ঠিত হবে। বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
সম্প্রতি সিলেট শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান রমা বিজয় সরকার গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ৩০ জুন থেকে সারাদেশে একযোগে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো। তবে বন্যার কারণে সিলেট বিভাগের পরীক্ষা ৮ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করা হয়। ৯ জুলাই থেকে যে পরীক্ষাগুলো হওয়ার কথা ছিলো, সেগুলো যথারীতি হবে বলে তখন জানানো হয়। যেহেতু এখন বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে, তাই যথারীতি নির্দিষ্ট তারিখ থেকে পরীক্ষাগুলো হবে।
এর আগে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তপন কুমার সরকারের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৯ জুলাই থেকে যে পরীক্ষাগুলো হওয়ার কথা ছিলো, সেগুলো সিলেট বিভাগেও যথারীতি অনুষ্ঠিত হবে। আর স্থগিত পরীক্ষার সময়সূচি পরে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সিলেট বিভাগ ছাড়া মাদ্রাসা বোর্ড, কারিগরি বোর্ড ও অন্য সাধারণ ৮টি বোর্ডের পরীক্ষাগুলো প্রকাশিত সময়সূচি অনুযায়ী যথারীতি ৩০ জুন থেকে অনুষ্ঠিত হবে।
সাধারণ ৯টি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র আলাদা হয়। তাই সিলেট বোর্ডের প্রশ্নপত্র নিয়ে কোনো ঝামেলা নেই। কিন্তু কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সারাদেশে অভিন্ন হয়।
এ অবস্থায় সিলেট বিভাগের কারিগরি ও মাদ্রাসার (আলিম) পরীক্ষা স্থগিত করায় এই বিভাগে কোন প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেয়া হবে, তা জানতে উদগ্রীব পরীক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকরা।
এ বিষয়ে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. মামুন উল হক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমারা চারটি প্রশ্নপত্র তৈরি করি। এরমধ্যে দুই সেট ছাপানো হয়। বাকি দুই সেট সংরক্ষিত থাকে। সিলেট বিভাগের স্থগিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বাকি দুই সেট থেকে নেয়া হবে।’
উল্লেখ্য, মাদ্রাসা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুহাম্মদ শাহ আলমগীরও প্রশ্নপত্র প্রণয়ন নিয়ে একই কথা জানিয়েছেন।
এমটিআই