• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১
কোটা আন্দোলন

ঢাবি শিক্ষার্থীদের হয়রানি না করার আহ্বান


ঢাবি প্রতিনিধি জুলাই ২৯, ২০২৪, ০৩:৩৩ পিএম
ঢাবি শিক্ষার্থীদের হয়রানি না করার আহ্বান

ঢাকা : কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো নিরাপরাধ শিক্ষার্থীকে হয়রানি না করতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

সোমবার (২৯ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানানো হয়।

সেখানে বলা হয়, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা ও আইন-শৃঙ্খলা বিনষ্টকারী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকার অভিযোগে বিভিন্ন ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নানা সংবাদ গণমাধ্যমে পরিলক্ষিত হচ্ছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থী হয়রানির শিকার হলে তাকে প্রক্টর অফিসকে জানানোর নির্দেশনা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কোনো ধরনের অভিযোগ পেলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভুক্তভোগীকে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

কোটা সংস্কারের মূল দাবি পূরণ হওয়ায় সব কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম। পাঁচ সমন্বয়কের উপস্থিতিতে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় রোববার এ ঘোষণা দেন তিনি।

তবে আন্দোলনকারীদের আরেকটি অংশ তা প্রত্যাখ্যান করে সোমবার বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছে।

২০১৮ সালে সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল করে পরিপত্র জুনের শেষে হাই কোর্ট অবৈধ ঘোষণা করলে ছাত্ররা ফের মাঠে নামে। জুলাইয়ে তা সারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছড়িয়ে যায়।

ছাত্ররা প্রথমে পরিপত্র পুনর্বহাল অর্থাৎ কোটা বাতিলের দাবি সামনে আনলেও পরে কোটা সংশোধন করে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ করার দাবি জানাতে থাকে।

১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সঙ্গে কোটা আন্দোলনকারীদের সংঘাতের পর পরিস্থিতি পাল্টে যায়। ১৬ জুলাই ঢাকা চট্টগ্রাম, ও রংপুরে সংঘাতে নিহত হয় তিনজন।

এ পরিস্থিতিতে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দিয়ে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়তে বলা হয়।

কিন্তু শিক্ষার্থীদের ডাকা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির মধ্যে ১৮ জুলাই সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদেরও আন্দোলনে দেখা যায়।

সেদিন বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীর মৃত্যুর খবর আসার পর গোটা দেশে নানা গুজব ছড়িয়ে পড়ে, এর মধ্যে বিভিন্ন এলাকায় রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় হামলা শুরু হয়। রামপুরায় বিটিভি ভবন, বনানীতে সেতু ভবন, মহাখালীতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবন ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১৯ জুলাই রাত ১২টা থেকে দেশজুড়ে কারফিউ শুরু হয়, নামানো হয় সেনাবাহিনী। সরকার তিনদিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করলে পুরো দেশ অচল হয়ে পড়ে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর ধীরে ধীরে কারফিউ শিথিল করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে চালু হয়েছে অফিস-আদালত, শিল্প কারখানা।

এই আন্দোলনকে ঘিরে সংঘাতের মধ্যে এক সপ্তাহে দুই শতাধিক মানুষের মৃত্যুর খবর আসে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে। তবে সরকারি হিসেবে নিহতের সংখ্যা ১৪৭।

আন্দোলনের মধ্যে সহিংসতা ও রাষ্ট্রীয় সম্পত্তিতে হামলার ঘটনায় ঢাকা মহানগর বিভিন্ন থানায় দুইশরও বেশি মামলা হয়েছে। এতে এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৫৩৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!