ঢাকা : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, ‘সেই ১লা জুলাই থেকে একটি অহিংস যৌক্তিক আন্দোলনের জন্য শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে বিভিন্ন ঘটনাক্রমের মধ্য দিয়ে যেসকল দেশের ছাত্র-জনতা শহীদ হয়েছেন, যারা মৃত্যুবরণ করেছেন, নিহত হয়েছেন তাদের সকলের আত্মার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই।
শিক্ষার্থীদের আমি ধন্যবাদ দিব তারা কিন্তু জাতিকে আরেকটি শিক্ষা দিলো এবং তারা ইতিহাসের একটি অংশ হলো। কীভাবে ন্যায্যতা এবং অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে আন্দোলন-সংগ্রাম পরিচালনা করতে হয়, সেটি বাংলাদেশের ইতিহাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিপূর্বেও বিভিন্ন ঐতিহাসিক ঘটনায় শিক্ষার্থীরা যেভাবে প্রমাণ করেছিল, তার পুনরাবৃত্তি ঘটলো।
গত ১জুলাই থেকে শিক্ষার্থীরা মূলত দেখিয়েছে নিরস্ত্র অবস্থায় কীভাবে সকল শ্রেণী-পেশার দলমত নির্বিশেষে মানুষদেরকে ঐক্যবদ্ধ করে একটি আন্দোলন করে ন্যায়সঙ্গত যৌক্তিক অধিকার এবং দাবি আদায় করতে হয় সেটি তারা অবশ্যই শিখিয়েছে। সে কারণে আমি তাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।’
শনিবার (৩ আগষ্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নীল দল আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘একইসঙ্গে দুঃখ প্রকাশ করি আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য যতটুকু আমার বা আমাদের পক্ষ থেকে করা দরকার ছিল ততটুকু বোধ হয় করতে পারিনি। সেটিও বেদনদায়ক। আমরা ছাত্রশূণ্য ক্যাম্পাস দেখতে চাই না। আমরা চাই অবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ খুলে শিক্ষার্থীরা যেন তাদের নিজ ক্যাম্পাসে এসে পুনরায় তাদের জীবন গড়ায় সুযোগ পায়, সেই কাজটি আমাদের এখন অগ্রাধিকার পাওয়া উচিত। সেই কারণে কর্তৃপক্ষের প্রতি আমাদের দাবি থাকবে, তাদের নিরাপত্তা এবং যেসকল ভবনের ক্ষতি হয়েছে সেগুলো সংস্কার সাপেক্ষে যত দ্রুত সম্ভব বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ খুলে দেওয়ার আহ্বান জানান।’
সাবেক উপাচার্য আরও বলেন, ‘সামাজিক, রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক যে অস্থিরতা এবং বিভিন্ন স্থবিরতা সেখান থেকে কেটে ওঠার জন্য জাতীয়ভাবে উদ্যেগ নেওয়া খুব জরুরি। এই মুহুর্তে যেটি প্রয়োজন সেটি হলো-একটি জাতীয় ঐক্য গঠন করা এবং সংলাপের বিকল্প নেই। আমাদের সহিংস কাজের মধ্য দিয়ে কোনো কিছু অর্জিত হবে না।’
এমটিআই