ঢাকা: কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতা ও সরকার পতনের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দীর্ঘ একমাস বন্ধ ছিল দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা গত ৭ আগস্ট থেকে খোলা থাকলেও উপস্থিতি ছিল খুবই কম। নিরাপত্তা শঙ্কায় অনেকে সন্তানকে স্কুলে পাঠাননি। এক মাসেরও বেশি সময় পর অবশেষে রোববার (১৮ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পুরোদমে খুলেছে।
সার্বিক দিক বিবেচনায় রেখে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। রাজধানীর স্কুল ও কলেজগুলোর ফটকে কড়াকড়ি আরোপ করেছে প্রতিষ্ঠানগুলো। শিক্ষার্থী ও ঘনিষ্ঠ অভিভাবক ছাড়া অন্য কাউকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
এর আগে কোটা সংস্কার আন্দোলন সহিংসতায় রূপ নিলে গত ১৭ জুলাই রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। একই রাতে দেশের সব সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। এরপর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আর ক্লাস হয়নি। গত ৭ আগস্ট থেকে স্কুল-কলেজ চালুর নির্দেশনা দেয় সেনাবাহিনী। তারপরও পুরোদমে শুরু হয়নি ক্লাস।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসায় গত ১৫ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশে জরুরি বিজ্ঞপ্তি জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তাতে পুরোদমে শিক্ষা কার্যক্রম চালুর নির্দেশ দেওয়া হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রোববার সকাল থেকে রাজধানীসহ সারাদেশের সরকারি-বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদরাসায় যথারীতি ক্লাস শুরু হয়েছে। তবে ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রামসহ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাশাসনিক শূন্যতার কারণে ক্লাস শুরুর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি। ফলে সেখানে বিচ্ছিন্নভাবে অনেক বিভাগ সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্লাস নিলেও পুরোদমে ক্লাস শুরু করা যায়নি।
অন্যদিকে জাহাঙ্গীরনগর, জগন্নাথ, কুমিল্লা, বরিশালসহ বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে যথারীতি ক্লাস শুরু হয়েছে বলেও তথ্য পাওয়া গেছে।
এসআই