ময়মনসিংহ: হলে অবস্থানের জন্য নিরাপত্তা চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর আবেদন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শাহজালাল হলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাকৃবির প্রক্টর মো. আব্দুল আলীম।
আবেদনপত্রে শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেন, 'আমরা আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক শ্রেণীর নিয়মিত ছাত্র। এতদিন ছাত্রলীগের নির্যাতনের কারণে একজন বৈধ ছাত্র হিসেবে আমরা শাহজালাল হলে অবস্থান করতে পারি নাই। কিন্তু বর্তমানে স্বৈরাচার সরকারের পদত্যাগের পরেও হলে ছাত্রলীগের দোসররা ও অছাত্ররা বিভিন্নভাবে হলে অবস্থান করছে এবং আমাদের কে হলে উঠতে দিচ্ছে না।
হলকে অস্থিতিশীল করার লক্ষে কিছু মাস্টার্স পাশ করা ছাত্র (মাহফুজ মবিন, পোলেন, অনিক) হলে ষড়যন্ত্র করছে। জুনিয়র লেভেলের শিক্ষার্থীদের ইন্ধন দিয়ে লেভেল-৪ এর ফাহিম-উল-ইসলাম এর নেতৃত্বে হল প্রভোস্ট নিয়োগের পূর্বে ৮ থেকে ১০ টি পলিটিকাল রুম এর তালা ভেঙে অস্ত্র, গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র সরিয়ে নেয়া হয়। গত ৩০ আগষ্ট সকাল ১০ ঘটিকায় হল থেকে আমাদের বের করে দিয়ে তারা সেই পুরোনো সীট বানিজ্য করার পায়তারা করছে। সম্প্রতি বাকৃবির পিএইচডি শিক্ষার্থীর রুমে গত ২৯ আগষ্ট দিবাগত রাত ২ টার দিকে সম্রাট আল হাসানের এর নেতৃত্বে ৮ থেকে ১০ জন ছেলে তাকে রুম ছেড়ে দেয়ার জন্য বিভিন্নভাবে হেনস্তা করে। ছাত্রলীগের কোনো প্রেতাত্মা যদি হলে থাকে তবে আমাদের সাধারণ শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা হুমকির মুখে পড়বে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিপদে ফেলে তারা নিজেদের ফায়দা হাসিলে ব্যাস্ত হয়ে পড়েছে। পরিশেষে আপনাদের প্রতি আবেদন আপনারা অনতিবিলম্বে শাহজালাল হল থেকে ছাত্রলীগকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে এদের হল ছাড়া করুন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি অতিসত্বর কোনো সুষ্ঠ পদক্ষেপ না নেয় তাহলে বৈধ ছাত্র হিসেবে আমরা আমাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হবো।'
এ ব্যাপারে বাকৃবির প্রক্টর মো. আব্দুল আলীম বলেন, ছাত্রদের অভিযোগ আমরা পেয়েছি। তদন্ত কমিটি গঠন করে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে আমরা সর্বদা সচেষ্ট থাকবো।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ফাহিম-উল-ইসলামের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এসএস