• ঢাকা
  • শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৬ পৌষ ১৪৩১

ছাত্র আন্দোলন নিয়ে বিরূপ মন্তব্য, হল ছাড়া হলেন শিক্ষার্থী


ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৪, ০৫:২৩ পিএম
ছাত্র আন্দোলন নিয়ে বিরূপ মন্তব্য, হল ছাড়া হলেন শিক্ষার্থী

কুষ্টিয়া: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সমন্বয়কদের নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় হল ছাড়া হয়েছেন আহসানুল অলি নামে এক শিক্ষার্থী। তিনি লালন শাহ হলের আবাসিক ও লোক প্রশাসন বিভাগের ১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। 

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১২ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের লালন শাহ হলের টিভি রুমে শিক্ষার্থীদের আলোচনায় বিরূপ মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

 

জানা যায়, সোমবার রাত ১০ টায় হলের সংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে আলোচনা করতে সমন্বয়কদের সঙ্গে বসেন লালন শাহ হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। আলোচনার এক পর্যায়ে আহসানুল্লাহ অলি আন্দোলন নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ আন্দোলনকারীদের। তিনি সমন্বয়কদেরকে ছাত্রলীগের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে বলে অভিযোগ উঠলে তার উপর ক্ষুদ্ধ হয় তারা। এসময় শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে মারধর করে তাকে হল ছাড়া করেন। এই নিয়ে রাত ১ টা পর্যন্ত উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করে হলে।

অভিযুক্ত আহসানুল্লাহ অলি বলেন, হল প্রশাসনের বিজ্ঞপ্তির প্রেক্ষিতে আমরা হলের শিক্ষার্থীরা সবাই আলোচনায় বসি। সেখানে আমি বাহির থেকে না উঠিয়ে গণরুম থেকে সিটে উঠানোর জন্য বলি। কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তির মাধ্যমে হলের সিট বন্টন না করে গণরুমে যারা থাকবে তাদের থেকে উঠাতে বলি। কিন্তু হলের গণরুম থেকে না উঠিয়ে বাহির থেকে ছেলেরা উঠছিলো। যে ছেলেরা উঠছে তাদের থেকে জানতে পারি বান্না নামের একজন তাদের হলে উঠিয়েছে। এনিয়ে আমি প্রশ্ন করায় তারা ক্ষিপ্ত হয়।

আমি এসময় একটু রাগান্বিত হয়ে বলি যে বান্না নিজেও একসময় ছাত্রলীগের সাফাই গাইতো। সে এখন কিভাবে হলে সিট দেয়। এনিয়ে তারা আমাকে উল্টো আন্দোলন করি নাই আমি ছাত্রলীগের সাথে ছিলাম এমন অভিযোগ দেয়। এসময় তারা আমাকে টিভি রুমে আটকে রাখে হেনেস্তা করে। পরে আমাকে তারা হল থেকে দৌঁড়ানি দেয়। ইট পাটকেল নিক্ষেপ ও মারধর করে। আমি এর সঠিক বিচার চাই। 

এ বিষয়ে হাসানুল বান্না বলেন, আমরা হলের সকল শিক্ষার্থীরা যখন আলোচনায় বসি সেখানে অলি বলে- বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন মাত্র আগষ্টের ২-৫ তারিখে হয়েছে। এছাড়া অন্য কোনোদিন আন্দোলনই হয়নি। সে নাকি প্রথম থেকে এ আন্দোলনের সাথে ছিলো। এসময় আরো কিছু শিক্ষার্থী একসময় যারা ছাত্রলীগ করতো তারা তাকে সমর্থন দেয়। এসব শুনে কারফিউর মধ্যে আন্দোলন করা শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ হয়। পরে সে পরিস্থিতি বুঝে দৌঁড়িয়ে পালায়।

এসএস

Wordbridge School
Link copied!