• ঢাকা
  • শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৬ পৌষ ১৪৩১
তিতুমীর কলেজে শিক্ষক দিবসের আলোচনা সভায় বক্তারা

‘পিতা-মাতার ঋণের মতো শিক্ষকদের ঋণও শোধ করার মতো নয়’


তিতুমীর কলেজ প্রতিনিধি অক্টোবর ৫, ২০২৪, ০৭:১৪ পিএম
‘পিতা-মাতার ঋণের মতো শিক্ষকদের ঋণও শোধ করার মতো নয়’

ঢাকা: ‘শিক্ষকের কণ্ঠস্বর: শিক্ষায় একটি নতুন সামাজিক অঙ্গীকার’ এই প্রতিপাদ্যে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে সরকারি তিতুমীর কলেজে আনন্দ শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৫ অক্টোবর) সরকারি তিতুমীর কলেজে শোভাযাত্রা ও শহীদ বরকত মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।

এছাড়াও ক্যাম্পাস ছিল শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের উপস্থিতিতে মুখরিত। শিক্ষার্থীদের মাঝে ছিল প্রাণবন্ত উচ্ছ্বাস, আর শিক্ষকরাও আনন্দমুখর পরিবেশে অংশগ্রহণ করেন। ক্যাম্পাসে ছিল বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীর উপস্থিতি, যা দিবসটির তাৎপর্যকে আরও গভীর করেছে।

তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক শ্রিপ্রা রাণী মণ্ডল বলেন, আমার শিক্ষার্থীরা আমার সন্তানের সমতুল্য। তাদেরকে অসীম মমতা, ভালোবাসা ও ক্ষমাশীলতার শুভেচ্ছা জানাই। তোমরা অনেক বড় হও, জ্ঞান, বিজ্ঞান, বিনয়ে, সততায়, মূল্যবোধে সমৃদ্ধ হোক তোমাদের জীবন। তোমরা যত বড় হবে, আমার শিক্ষক সত্তাটি গৌরবের মহিমায় উদ্ভাসিত হবে। আমি আমার শিক্ষার্থীদের লালন-পালন বা গড়ে তোলার জন্য সব কষ্ট ও ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত। কিছু ভুলভ্রান্তির মাধ্যমে শিখতে শিখতে সংশোধন ও সংস্কারের মাধ্যমে সুন্দর দক্ষ আগামীর উপযোগী মানবসম্পদ তৈরি করতে পারবো বলে আমি আশাবাদী।

বিশ্ব শিক্ষক দিবসের আলোচনা সভায় কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোঃ মহিউদ্দিন বলেন, আজ ৫ অক্টোবর বিশ্ব শিক্ষক দিবস। শিক্ষকতা একটি মহান পেশা। এই সমাজে অনেক শিক্ষার্থী আসে, তাদের মধ্যে অনেকেই হারিয়ে যায়। তবে কিছু শিক্ষার্থীকে শিক্ষকরা ধরে রাখে। সুতরাং, আমরা যেমন আমাদের পিতা-মাতার ঋণ কখনো শোধ করতে পারি না, তেমনি শিক্ষকদের ঋণও শোধ করার মতো নয়। এছাড়া তিনি আরও বলেন, শিক্ষকদের কিছু ভুলভ্রান্তি আছে, সেগুলো পরিহার করা দরকার।

শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক অধ্যাপক কাজী ফয়জুর রহমান বলেন, আমরা শিক্ষক, আমরা জাতির বিবেক, আমরা জাতিকে আলোর পথ দেখাই। শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের মৌলিক ও নৈতিক শিক্ষার মাধ্যমে গড়ে তোলেন। বর্তমানে সামাজিক ও নৈতিক শিক্ষার চেয়ে পুঁথিগত বিদ্যাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আমাদের ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক, ভালোবাসা এবং মান উন্নয়নে আমরা উদাসীন হয়ে পড়েছি।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. মোসম্মৎ আসমা বেগম এবং বাংলা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক কামরুন্নাহার। এ সময় অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

এসএস

Wordbridge School
Link copied!