কুষ্টিয়া: ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ এবং হাইকোর্টে আওয়ামীপন্থি বিচারপতিদের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বৈষমবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রধান ফটকের সামনে এ মানববন্ধন শুরু করেন তারা।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহ-সমন্বয়ক নাহিদ হাসান, ইয়াসিরুল কবির সৌরভ, সাদিয়া মাহমুদ মীম, ইসমাইল হোসেন রাহাত প্রমূখ।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা ‘ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করতে হবে, জঙ্গি লীগ নিষিদ্ধ করতে হবে’, ‘বিচারপতিদের প্রহসন মানি না মানবো না’, ‘দালাল বিচারপতিদের অপসারণ করতে হবে’, ‘মানবতাবিরোধী সন্ত্রাসী সংগঠন আওয়ামীলীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে’ ইত্যাদি প্লা-কার্ড প্রদর্শন করতে দেখা যায়।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, হাজার হাজার শহিদের জীবনের বিনিময়ে বিপ্লব করে এদেশকে স্বাধীন করেছি। যাদের হাতে আমাদের ভাই-বোনদের রক্ত লেগে আছে সেই সন্ত্রাসী সংগঠন আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগকে অনতিবিলম্বে নিষিদ্ধ করতে হবে। এ দাবি ৫ আগস্টকে ত্বরান্বিত করা আবু সাইদ, মুগ্ধ ও শহিদদের দাবি। এ দাবি আমাদের সকলের প্রাণের দাবি। গত ১৫বছর ধরে আওয়ামী সরকার সারাদেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে রেখেছিলো। তারা পুনরায় বিভিন্ন ক্যু করে এ অন্তর্বর্তী সরকারকে চাপে ফেলার চেষ্টা করছে। তারাই দেশে সিন্ডিকেট করে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি করছে। অনতিবিলম্বে তাদের বিরূদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।
এছাড়া ১৫ অক্টোবরে হাইকোর্টে জয় বাংলা স্লোগানের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, আওয়ামী সরকারের দালাল যেসকল আইনজীবী ও বিচারপতি গণহত্যার সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের সাহায্য করছে তাদেরকে অপসারণ করতে হবে। জুলাই বিপ্লবের মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে।
ইবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক নাহিদ হাসান বলেন, গত ১৫ বছরে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার বিভিন্নভাবে ছাত্র জনতাকে হত্যা করেছে, গুম করেছে শুধুমাত্র ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য। যেই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সাথে এদেশের মানুষের রক্ত জড়িয়ে আছে সেই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে এদেশে আমরা আর দেখতে চাই না। ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগকে অনতিবিলম্ব নিষিদ্ধ করতে হবে। কিভাবে ফ্যাসিবাদি হাসিনাকে দেশে এনে বিচার করা যায় তার প্রেক্ষিতে আমরা আন্দোলন করে যাবো।
এসএস
আপনার মতামত লিখুন :