Menu
ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ‘হেম হরষিত লোকগানের আসর ও পিঠা উৎসব’। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) উৎসব শুরু হয়। উৎসব উপলক্ষে টিএসসির পায়রা চত্বরে শীতকালীন বিভিন্ন পিঠা, মুখরোচক খাবার ও সাজগোজের সামগ্রীর স্টল বসে। সেখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অন্যরা বিভিন্ন সামগ্রী কেনেন।
এ ছাড়াও টিএসসির মাঠে লোকগান, বাউল গান, লালনগীতিসহ বিভিন্ন ধরনের গানে মেতে ওঠেন শিক্ষার্থীর। রাত ৯টা পর্যন্ত চলে আয়োজন। বিকাল ৫টায় পুথিপাঠের মাধ্যমে উৎসবের শুরু হয়। তারপর ধামাইল নাচ পরিবেশন করে নিত্যশিল্পীরা।
এরপর মঞ্চে আসে ব্যান্ড লাউ। ‘এত যে নিঠুর বন্ধু জানা ছিল না’সহ আরো বেশ কয়েকটি গান পরিবেশন করে ব্যান্ড লাউ। নামাজের বিরতির পর পুনরায় অনুষ্ঠান শুরু হয়। তারপর মঞ্চস্থ হয় চা শ্রমিকের নাচ। মঞ্চে আসে ব্যান্ড লৌকিক। ব্যান্ড লৌকিকের গানের পর একে একে মঞ্চে আসেন জয়িতা অর্পা, কানিজ খন্দকার মিতু, বাউল সুনীল কর্মকার, বাউল শফি মন্ডল, এফ মাইনর ও গান পোকা।
দরদের গানের উদ্দেশ্য নিয়ে আয়োজক নাহিয়ান ফারুক বলেন, ‘দরদের গান প্লাটফর্মের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতি শহরের মানুষের কাছে তুলে ধরা, বিশেষ করে আমাদের রন্ধনশৈলী ও তৃণমূল থেকে উঠে আসা গানগুলোকে শহরে পরিচিত করা। এবার পিঠা উৎসবের রন্ধনশৈলী বিশেষ একটা আকর্ষণ। পিঠা ও গান লোকসংস্কৃতির এ দুটি আয়োজন আমাদের গ্রামে হতো।
গ্রামের এ সংস্কৃতি নগরজীবনে তুলে আনার জন্য আমাদের এ আয়োজন। এবারই ছিল দরদের গানের প্রথম আয়োজন। এ নিয়ে নাহিয়ান ফারুক বলেন, ‘এবারই আমাদের প্রথম আয়োজন, আমরাই এবার প্রথম পিঠা উৎসব ও লোকগানের আয়োজন করেছি।’
দরদের গানের আয়োজন নিয়ে আরেক আয়োজক রিদি বলেন, ‘আমরা প্রথমে পুথিপাঠের মাধ্যমে আয়োজন শুরু করেছি। এরপর থাকছে লোকগান ও লোকনাচ। আমরা শহুরে জীবনে লোকসংস্কৃতি সম্পর্কে তেমন একটা পরিচিতি নেই। এটা একটি ব্যতিক্রমী আয়োজন। শহরে এ সংস্কৃতি পরিচিত করতে আমাদের এ আয়োজন। এ আয়োজনে আমরা প্রত্যাশার চেয়ে বেশি সাড়া পেয়েছি। আমরা আশা করছি, সামনে আরো বেশি সাড়া পাব।’
ইউআর
© 2025 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সোনালীনিউজ.কম
Powered By: Sonali IT