ছেলের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত এটিএম শামসুজ্জামান

ঢাকা: রাজধানীর জুরাইন কবরস্থানে বড় ছেলের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বরেণ্য অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান।

শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে রাজধানীর সূত্রাপুরে নিজ বাসায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। 

এর আগে বাদ জোহর নারিন্দায় পীর সাহেব বাড়ি জামে মসজিদে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বাদ আসর সূত্রাপুর জামে মসজিদে দ্বিতীয় জানাজা শেষে জুরাইন কবরাস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে এটিএম শামসুজ্জামানের মেয়ে কোয়েল আহমেদ বাবার মৃত্যুর কথা গণমাধ্যমে জানিয়েছেন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে কোয়েল আহমেদ বলেন, ‘আব্বা আর নেই। আব্বা আর নেই। শুক্রবার বিকেলে আব্বাকে বাসায় নিয়ে আসছিলাম। উনি হাসপাতালে থাকতে চাইছিলেন না। তাই বাসায় নিয়ে আসছিলাম। আমি রাত ২টা ৩০ মিনিটে আব্বার বাসায় আসছি।’

অভিনেতা কখন মারা গেছেন জানতে চাইলে ‘জানি না’ বলেই আবারও অঝোরে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তার মেয়ে। বাবার আত্মার শান্তির জন্য দোয়া চেয়েছেন কোয়েল।

এদিকে, শনিবার সকালে সূত্রাপুরের বাসায় এটিএম শামসুজ্জামানের মৃত্যু হয় বলে গণমাধ্যমে জানিয়েছেন তার ছোট ভাই সালেহ জামান। তিনি জানান, ‘কিছুক্ষণ আগে ভাই আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন।’

গত বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে পুরান ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল এটিএম শামসুজ্জামানকে। তার অক্সিজেন লেভেল কমে গিয়েছিল। হাসপাতালে ডা. আতাউর রহমান খানের তত্ত্বাবধানে ছিলেন জনপ্রিয় এ অভিনেতা।

এদিকে, গুণী এই অভিনেতার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

এক শোক বার্তায় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, “এটিএম শামসুজ্জামানের মৃত্যু দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। বাংলাদেশে অসাম্প্রদায়িক চেতনার বিকাশে তার অবদান মানুষ শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।”

আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার শোকবার্তায় বলেছেন, “জনপ্রিয় এই শিল্পী তার অসাধারণ অভিনয়ের মধ্য দিয়ে দেশবাসীর হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন।”

১৯৬৫ সালে অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্র আগমন হয় এটিএম শামসুজ্জামানের। ১৯৭৬ সালে চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেনের ‘নয়নমণি’ সিনেমায় খল চরিত্রে অভিনয় করে আলোচনায় আসেন তিনি। প্রবীণ এ অভিনেতা আজও দর্শকের কাছে নন্দিত। 

সোনালীনিউজ/এমএইচ