ঢাকা : ঢাকা বোট ক্লাবে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ব্যবসায়ী নাসির ইউ মাহমুদসহ (নাসির উদ্দিন মাহমুদ) ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ঢাকাই সিনেমার অভিনেত্রী পরীমণি।
রোববার (১৩ জুন) রাতে পরীমণি তার বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার পর থেকেই আলোচনায় আসেন নাসির।
জানা গেছে, নাসির ইউ মাহমুদ ঢাকা বোট ক্লাবের সদস্য। তিনি ৩৭ বছর ধরে ডেভেলপার ব্যবসায়ে আছেন। ১০ বছর ধরে মাহমুদ কুঞ্জ ডেভেলপার্স লিমিটেডের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রয়েছেন। কুঞ্জ ডেভেলপার্সের আগে তিনি মাহমুদ বিল্ডার্স অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েশনের এমডি ছিলেন।
সূত্র জানায়, তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সয়েল, ওয়াটার অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট বিভাগ থেকে পড়াশোনা করেন। তিনি ও তার প্রতিষ্ঠান সরকারের গণপূর্ত অধিদফতর, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি), শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতর (ইইডি), রাজউক, রেলওয়েসহ সরকারি-বেসরকারি নানা ঠিকাদারি কাজ করেন।
নাসির ইউ মাহমুদ বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কনস্ট্রাকশন ইন্ডাস্ট্রির (বিএসিআই) সাবেক নির্বাহী পরিষদের সদস্য। তিনি ২০১৫, ২০১৬ এবং ২০১৭ সালে উত্তরা ক্লাবের নির্বাচিত সভাপতি, লায়ন ক্লাবের ঢাকা জোনের চেয়ারম্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএম হলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
এছাড়াও তিনি জাতীয় পার্টির (জাপা) একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য। ২০২০ সালের ২৮ ডিসেম্বর জাপার নবম কাউন্সিলে তাকে প্রেসিডিয়াম সদস্য করা হয়।
ঢাকা বোট ক্লাবের রিসিপশনিস্ট রুমা বলেন, ক্লাব বন্ধ নয়, খোলা আছে। কিন্তু মেম্বার ছাড়া ক্লাবে প্রবেশ করা যাবে না। ‘নট মেম্বর নট অ্যালাও’। তবে মেম্বারদের সঙ্গে গেস্ট অ্যালাও রয়েছে। ক্লাবে পরীমণির ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গতকাল থেকে আমি এই ক্লাবের রিসিপশনিস্ট হিসেবে জয়েন করেছি। এই বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।
এর আগে সোমবার দুপুর ১২টার দিকে সাভার থানায় মামলাটি করা হয়। এতে নাসির উদ্দিন ও তার বন্ধু অমির নাম উল্লেখ করে আরও ৪ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। এর আগে সকালে রূপনগর থানার মাধ্যমে লিখিত অভিযোগ করেন পরীমণি।
সোনালীনিউজ/এমএএইচ
আপনার মতামত লিখুন :