• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১

ফকির আলমগীরের মরদেহে আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধা


নিজস্ব প্রতিবেদক জুলাই ২৪, ২০২১, ০২:৪৯ পিএম
ফকির আলমগীরের মরদেহে আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধা

ছবি : ফকির আলমগীরের মরদেহে আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধা

ঢাকা : একুশে পদকপ্রাপ্ত দেশবরেণ্য গণসংগীত শিল্পী এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের কণ্ঠযোদ্ধা ফকির আলমগীরের মরদেহে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে।

শনিবার (২৪ জুলাই) বেলা ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত মরদেহ রাখা হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে।

এর আগে বেলা ১১টার দিকে খিলগাঁওয়ের পল্লীমা সংসদ মাঠে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে গার্ড অব অনার দেয়া হয় স্বাধীন বাংলা বেতারের এই কণ্ঠসৈনিককে।

শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক  ড. হাছান মাহমুদ এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস এমপি, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া,  মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি এমপি, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক শ্রী সুজিত রায় নন্দী এবং উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান।

উল্লেখ্য, শুক্রবার (২৩ জুলাই) রাত ১০টার দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালের  কোভিড ইউনিটে ভেন্টিলেশনে থাকা অবস্থায় ফকির আলমগীরের হার্ট অ্যাটাক হয়। রাত ১০টা ৫৬ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

গত ১৪ জুলাই, বুধবার ফকির আলমগীরের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট ‘পজিটিভ’ আসার পর চিকিৎসকের পরামর্শে তিনি বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে তার জ্বর ও শ্বাসকষ্ট বাড়তে থাকায় রাতে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ফকির আলমগীরের চিকিৎসার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে খোঁজ নেওয়া হয়েছে বলে সেসময় জানান ফকির আলমগীরের স্ত্রী সুরাইয়া আলমগীর।

ষাটের দশক থেকে গণসংগীতের সঙ্গে যুক্ত ফকির আলমগীর। ক্রান্তি শিল্পীগোষ্ঠী ও গণশিল্পীগোষ্ঠীর সদস্য হিসেবে ১৯৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি যোগ দেন স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রে। স্বাধীনতার পর পাশ্চাত্য সংগীতের সঙ্গে দেশজ সুরের মেলবন্ধন ঘটিয়ে বাংলা পপ গানের বিকাশে ভূমিকা রাখেন ৭১ বছর বয়সী এ শিল্পী। সংগীতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য সরকার ১৯৯৯ সালে ফকির আলমগীরকে একুশে পদক দেয়।

দীর্ঘ ক্যারিয়ারে তার কণ্ঠের বেশ কয়েকটি গান দারুণ জনপ্রিয়তা পায়। এর মধ্যে ‘ও সখিনা’ গানটি এখনো মানুষের মুখে মুখে ফেরে। ১৯৮২ সালের বিটিভির আনন্দমেলা অনুষ্ঠানে গানটি প্রচারের পর দর্শকদের মাঝে সাড়া ফেলে। গানটি লিখেছেন আলতাফ আলী হাসু। কণ্ঠ দেওয়ার পাশাপাশি গানটির সুরও করেছেন ফকির আলমগীর।

ফকির আলমগীর সাংস্কৃতিক সংগঠন ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা, গণসংগীত চর্চার আরেক সংগঠন গণসংগীতশিল্পী পরিষদের সাবেক সভাপতি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর করা ফকির আলমগীর গানের পাশাপাশি নিয়মিত লেখালেখিও করেন। ‘মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ও বিজয়ের গান’, ‘গণসংগীতের অতীত ও বর্তমান’, ‘আমার কথা’, ‘যারা আছেন হৃদয় পটে’সহ বেশ কয়েকটি বই প্রকাশ হয়েছে তার।
সোনালীনিউজ/এসএন

Wordbridge School
Link copied!