• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১

‘বাংলা সংগীতের একটি ধারায় শূন্যতা তৈরি হলো’


শব্দনীল জুলাই ২৫, ২০২১, ০৩:২৪ পিএম
‘বাংলা সংগীতের একটি ধারায় শূন্যতা তৈরি হলো’

ছবি : শিল্পী ফকির আলমগীরকে নিয়ে রিকশা চলাচ্ছেন ফেরদৌস ওয়াহিদ

ঢাকা : স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে পাশ্চাত্য সংগীতের সঙ্গে দেশজ সুরের মেলবন্ধন ঘটিয়ে বাংলা পপ গানের বিকাশ করেছেন যিনি, তিনি একাত্তরের কণ্ঠযোদ্ধা, কিংবদন্তী গণসংগীত শিল্পী ফকির আলমগীর। সদ্যপ্রয়াত এই শিল্পীর খুব কাছের বন্ধু ফেরদৌস ওয়াহিদ। দু’জনের বন্ধুত্ব প্রায় ৪৮ বসন্ত পার করেছে। জীবনের সাফল্য–ব্যর্থতার প্রতিটি অধ্যায় একসঙ্গে পেরিয়ে এসেছেন। পপ এবং লোকসংগীত শিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদ বন্ধুকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন ‘সোনালী নিউজ’-এর সঙ্গে।

পরিচয়ের শুরুর কথা বলতে গিয়ে ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, ‘এক শিক্ষকের মাধ্যমে টিএসসিতে ১৯৭৩ সালে আমাদের পরিচয় হয়। আমি পপ গান করতাম, সে গণসংগীত করতো। একটা সময় সে দ্রুতই পপ সংগীতে চলে আসে। আমার চেয়ে তার কৃতিত্ব অনেক বেশি। কারণ বলি, আমি পপ গেয়েছি কিন্তু সে গণসংগীত এবং পপ একত্রে গেয়েছে। সে প্রচণ্ড ভাবে মানুষের কাছে জনপ্রিয়।’

‘দেখুন সে মারা গেলো। এতে কি হয়েছে বলি, বাংলা সংগীতের একটি ধারায় শূন্যতা তৈরি হলো। গণসংগীতের ধারার কথা বলছি। আমি বলছি না, গণসংগীত অন্য কেউ গায় না। অনেকেই গায় এবং গাচ্ছে কিন্তু ফকির আলমগীরের মতো সর্বস্তরে কেই পৌঁছে দিতে পারেনি। একমাত্র সে বলেই সম্ভব হয়েছে। এখন এই ধারার হাল কে ধরবে বা কি হবে সেটা বলা অসম্ভব। গণসংগীতের ধারা তার মতো আগায় নেওয়ার কেউ কি আছে, মনে হয় না আমার।’

‘আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কটা ছিল খুব নিবিড়। কতটা নিবিড় ছিলো তার একটি উদাহারণ দিলে বুঝতে পারবেন। তার বিয়ের পাগড়িটি আমি মাথায় পরিয়ে দিয়েছি। এছাড়া আরও কতো স্মৃতি আছে বলা শুরু করলে শেষ হবে না। সে অসম্ভব ভালো মানুষ ছিলো। তার সঙ্গে আমার কখনও মান অভিমান হয়নি। আগাগোড়া এক প্রাণবন্ত মানুষ ছিল সে।’

‘এখন ইউটিউব, ফেসবুক আর কি কি বলেন আছেনা। এইগুলোর মধ্যমে দেখি অনেকের দ্বন্দ্ব হয়। আমাদের সময় তো এগুলো ছিলো না। আমাদের আড্ডা দিয়েই সময় চলে গেছে। মান-অভিমান করার সময় পাইনি।’

‘শেষ কথা বা দেখার বিষয় বলতে গত মাসেই তার সঙ্গে দেখা হয়েছে। ৫ জুন ছিল আজম খানের মৃত্যুবার্ষিকী। সেই উপলক্ষে আমি এবং ফকির আলমগীর আলোচনা করতে গিয়েছিলাম চ্যানেল আইতে। তখন তো বুঝতে পারিনি এটাই আমাদের শেষ দেখা। তবে কথা হয়েছে, করোনা আক্রান্ত হওয়ার আগে ও পরে। তার অসময়ে চলে যাওয়া আমাকে খুব ব্যথিত করেছে।’

সোনালীনিউজ/এসএন/আইএ

Wordbridge School
Link copied!