ঢাকা : চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে প্রথমবারের মতো সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন। অন্যদিকে টানা তৃতীয়বারের মতো সাধারণ সম্পাদক পদে জয়লাভ করেছেন জায়েদ খান। দুটি আলাদা প্যানেল থেকে নির্বাচিত হয়েছেন তারা।
এদিকে গত ৩০ জানুয়ারি রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বাসায় হাজির হন জায়েদ খান। শুধুমাত্র নিজের প্যানেলের জয়ী প্রার্থীদের নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন তিনি। নবনির্বাচিত সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চনকে বাদ দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করায় ক্ষমা চেয়েছেন সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান।
শিল্পী সমিতির এই দুই নেতাকে নিয়ে বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন অভিনেতা ও উপস্থাপন শাহরিয়ার নাজিম জয়। নির্বাচিত হওয়ার পর এবারই প্রথম একসঙ্গে হাজির হয়েছিলেন তারা। সেই অনুষ্ঠানে নিজের ভুলের কথা স্বীকার করে ইলিয়াস কাঞ্চনের কাছে ক্ষমা চান জায়েদ খান।
এ সময় জায়েদকে থামিয়ে দিয়ে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, আসলে এখানে ভুলটা হয়েছে বলেই এই কনফিউশন তৈরি হয়েছে। বিষয়টা প্রথমে আমার নিজের কাছেও খারাপ লেগেছে। কারণ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হয়তো মনে করতে পারেন, আমি ইচ্ছা করেই যাইনি। সে সময় হয়তো তারা সেটা চিন্তাভাবনা করে করেনি।
জায়েদ খান জানান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে আমরা বলেছি, আমরা এখন শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে আসিনি। এখানে ছিলাম, তাই আপনাকে সালাম করে গেলাম। আমরা শপথ গ্রহণের পর কাঞ্চন ভাইকে নিয়ে পুরো কমিটি আসব। একই কথা তথ্যমন্ত্রীকেও বলেছি।
তিনি আরও বলেন, কাঞ্চন ভাইয়ের সঙ্গে আমি গত দুই টার্ম ধরে কাজ করছি। তিনি আমাদের শিল্পী সমিতির দুইবারের উপদেষ্টা ছিলেন। যে কোনো ক্রাইসিসে তিনি এগিয়ে এসেছেন, আমাদের সঙ্গে কাজ করেছেন।করোনার সময় কেউ যখন ঘর থেকে বের হতে চাইতো না, তখন কাঞ্চন ভাই এসেছেন। তিনি বলেছেন- তোমাদের জন্য, চলচ্চিত্রের স্বার্থে এই মহামারির সময়ে বের হয়েছি।
জায়েদ খান যোগ করেন, কাঞ্চন ভাই মহাসড়কের যোদ্ধা। চলচ্চিত্রের সিনিয়রদের মধ্যে অন্যতম। তিনি এখন শিল্পী সমিতির অভিভাবক। কাঞ্চন ভাইয়ের অভিজ্ঞতার আলোকে তার নির্দেশে আমরা চলচ্চিত্র ও শিল্পীদের উন্নয়নে কাজ করে যাব। এখন শিল্পীরা সবাই একটা পরিবার।
সোনালীনিউজ/এমএএইচ
আপনার মতামত লিখুন :