ঢাকা : ছিলেন বাস কন্ডাক্টর এরপর নাম লেখান সিনেমায়। রূপালি পর্দায় পা রেখে হয়ে ওঠেন সুপারস্টার। তার জীবন, তার উত্থান যেন রূপকথার মতো। তিনি দক্ষিণের ‘থালাইভা’ গোটা দেশের অন্যতম আইকন রজনীকান্ত। যার প্রতিটি ছবির জন্য সকলে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে। বলিউডের বড় বড় নায়কদের ভিড়ে রজনীকান্ত আজও তার ক্যারিশমা স্বমহিমায় বজায় রেখেছেন।
শুধু সিনেমা কিংবা অভিনয় নয়, রজনীকান্তের জীবনও অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণা। নিজের জীবন নিয়ে বরাবরই খোলাখুলি আলোচনা করেন। তার সবকিছু ঠিক থাকলেও তার রয়েছে নেশার বদ অভ্যাস, যা সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজেই জানিয়েছেন রজনীকান্ত।
রজনীকান্তের কথায়,‘যদি আমার জীবনে মদ না থাকতো তাহলে আমি সমাজের আরও অনেক ভালো কাজ করতে পারতাম৷ অ্যালকোহল আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল৷ আমি বলছি না যে, মদ একেবারেই খাবেন না৷ কিন্তু প্রতিদিন খাওয়া মোটেই উচিত নয়৷ শরীরের সঙ্গে সঙ্গে এটি মনেরও ক্ষতি করে৷’
তার মতে, মদ, সিগারেট এবং আমিষ খাবার বেশি খেলে ৬০ বছর বয়সের পরে সুস্থ জীবন কাটানো সম্ভব নয়৷
সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন,‘যখন আমি কন্ডাক্টর ছিলাম তখন প্রতিদিন মদ খেতাম৷ প্রচুর সিগারেট খেতাম৷ আমার দিন শুরু হত আমিষ খাওয়ার দিয়ে৷ সারাদিনে অন্তত দু’বার কোনো না কোনো আমিষ খাবার খেতাম আমি৷ নিরামিশাষীদের দেখে আমার করুণা হত৷ কিন্তু এই তিনটি জিনিস শরীরের পক্ষে ভয়ঙ্কর৷’
তবে রজনীকান্তের জীবনে বহু পরিবর্তন নিয়ে আসেন তার স্ত্রী৷ ভালোবাসা দিয়ে তার অগোছালো জীবনকে গুছিয়ে দেন স্ত্রী লতা৷ নিজের ৫০তম জন্মদিনে একটি জনপ্রিয় তামিল অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ছিলেন রজনীকান্ত৷ সেখানে তিনি বলেন যিনি তার সঙ্গে তার স্ত্রী লতার আলাপ করিয়ে দিয়েছিলেন তার কাছে তিনি চিরকৃতজ্ঞ থাকবেন৷
সোনালীনিউজ/এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :