ঢাকা : বাংলাদেশে নব্বই দশকের ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা সালমান শাহ।
বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) তার ২৭তম মৃত্যুবার্ষিকী। মৃত্যুর এত বছর পরেও তিনি এখনো সমান জনপ্রিয়। আজও তাকে ভুলতে পারেনি চলচ্চিত্রাঙ্গনের মানুষ ও সতীর্থরা। তাদের কাছে সালমানের মৃত্যু এক বড় রহস্য।
এর উত্তর খুঁজতেই চিত্রনায়ক সালমান শাহকে নিয়ে বৈশাখী টেলিভিশনের অনুসন্ধানীমূলক বিশেষ তথ্যচিত্র ‘স্মৃতিতে সালমান শাহ’। যা প্রচার হবে তার আজ দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে।
বৈশাখী টেলিভিশনের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক টিপু আলম মিলনের পরিকল্পনা ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে তথ্যচিত্রটির গ্রন্থনা ও ধারা বর্ণনা করেছেন তারেক সিকদার। এ ছাড়া মো. বেলাল হোসেনের চিত্রগ্রহণে তথ্যচিত্রটির সম্পাদনা করেছেন তাজদীদ উল ইসলাম। সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন দুলাল খান। নির্মাণ তত্ত্বাবধানে ছিলেন প্রোগ্রাম ম্যানেজার লিটু সোলায়মান।
সমন্বয়ক ও সালমান শাহের বন্ধু সাংবাদিক দুলাল খান জানান, এই তথ্যচিত্রের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে জানা-অজানা অনেক কিছু।
তিনি জানান, এতে সালমান শাহকে নিয়ে কথা বলেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, মা নীলা চৌধুরী, মামা আলমগীর কুমকুম, স্ত্রী সামিরা, পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান, ছটকু আহমেদ, অভিনয়শিল্পী ফেরদৌস, ডন, ঋতুপর্ণা, ভাবনা, নীরব, সাকিব সুলেরী, মালি জাকির, প্রত্যক্ষদর্শী ডলি বেগমসহ অনেকে। সেই সঙ্গে রয়েছে সালমান শাহর আত্মহত্যার চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমাদানকারী পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদারের বক্তব্য।
উল্লেখ্য, এ অভিনেতার উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলোর মধ্যে রয়েছে: কেয়ামত থেকে কেয়ামত ( ১৯৯৩ ) সুজন-সখী (১৯৯৪), বিক্ষোভ (১৯৯৪), স্বপ্নের ঠিকানা (১৯৯৪), মহামিলন (১৯৯৫), বিচার হবে (১৯৯৬), তোমাকে চাই (১৯৯৬), স্বপ্নের পৃথিবী (১৯৯৬), জীবন সংসার (১৯৯৬), চাওয়া থেকে পাওয়া (১৯৯৬), প্রেম পিয়াসী (১৯৯৭), স্বপ্নের নায়ক (১৯৯৭), আনন্দ অশ্রু (১৯৯৭), বুকের ভিতর আগুন (১৯৯৭) প্রভৃতি।
এমটিআই