ঢাকা : অভিনেতা স্বামী শরিফুল রাজকে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সংসারের ইতি টেনেছেন ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা পরীমনি। এর পরই এ নায়িকাকে নিয়ে ভক্তদের মধ্যে প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে যে, রাজের সঙ্গে কতদিন টিকল পরীমনির সংসার।
বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে পরীমনির একাধিক বিয়ের খবর প্রকাশ হয়েছে। তবে পরী নিজ থেকে তিনটি বিয়েকে স্বীকৃতি দিয়েছেন। বেশ ঢাকঢোল পিটিয়েই ভক্তদের সঙ্গে সেই বিয়ের খবরগুলো শেয়ার করেছেন।
সর্বশেষ ঢাকাই সিনেমার অভিনেতা শরিফুল রাজকে ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর গোপনে বিয়ে করেন পরীমনি। মাত্র সাত দিনের পরিচয়ে বিয়ে করেছিলেন তারা। সেই খবর প্রকাশ্যে আনেন ২০২২ সালের ১০ জানুয়ারি। এই সংসারও দুই বছরের মাথায় ভেঙে গেল অভিনেত্রীর। স্বামীর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে শরিফুল রাজকে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়েছেন পরীমনি। হিসাব করলে দেখা যায়, রাজের সঙ্গে পরীমনির সংসার ছিল ১ বছর ১১ মাস ৩ দিন।
এর আগে পরীমনি প্রথম সম্পর্কের কথা জানান ২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি। এক সাংবাদিকের প্রেমে জড়ান তিনি। দীর্ঘ সময় প্রেমের পর বাগদানও হয় এই জুটির। স্বামীকে নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও ঘুরে বেড়ান। কিন্তু সেই সংসার স্থায়িত্ব পায়নি। বিয়ের এক বছর পার না হতেই বিচ্ছেদ ঘটে এই দম্পতির।
এর পর ২০২০ সালের ৯ মার্চ আবারও বিয়ে করেন পরী। সেদিন রাতে অভিনেত্রী ও পরিচালক হৃদি হকের অফিসে কাজি ডেকে তার সহকারী কামরুজ্জামান রনিকে মাত্র তিন টাকা দেনমোহরে বিয়ে করেন তিনি। কিন্তু সে বিয়েও বেশি দিন টেকেনি।
বেশ ঢাকঢোল পিটিয়ে সেই বিয়ের খবর জানালেও নীরবেই বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন এই জুটি। কেন রনির সঙ্গে সংসার করা হলো না পরীর, সে বিষয়েও কখনো গণমাধ্যমে মুখ খুলেননি তিনি।
এদিকে রাজের সঙ্গে বিচ্ছেদের আগে পরী জানিয়েছিলেন, রাজের থেকে মুক্তি চান তিনি। যত দ্রুত সম্ভব রাজ যেন তাকে ডিভোর্স দিয়ে দেন।
অন্যদিকে শরিফুল রাজ জানিয়েছিলেন নতুন করে জীবন সাজাতে চান তিনি। এমনকি ১০ আগস্ট ছেলে রাজ্যর জন্মদিনের আয়োজনেও দেখা যায়নি রাজকে।
এমটিআই