ঢাকা : সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পরেই রাতারাতি বদলে যায় প্রাক্তন প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তীর জীবন। তার বিরুদ্ধে উঠে একাধিক অভিযোগ, শুরু হয় চর্চা।
দাবি ওঠে তার কারণেই আত্মহত্যা করেছেন সুশান্ত। তার বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ করেন সুশান্তের বাবা। গ্রেফতার হন রিয়া। এনসিবি তার বিরুদ্ধে মাদক সেবনের ও সুশান্তকে মাদক সরবরাহের অভিযোগও আনেন। সম্প্রতি এই বিষয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় জেল থেকে ছাড়া পান রিয়া। তবে অনেকদিনই তিনি ক্যামেরা থেকে দূরে ছিলেন। বর্তমানে এমটিভি রোডিজ সিজন ১৯-এ মেন্টরের ভূমিকায় রয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে রিয়া বলেন যে, তাকে ডাইনি অপবাদ দেওয়ায় তিনি কিছু মনে করেননি। বরং এই নাম তার পছন্দ হয়।
রিয়া বলেন, 'চুড়েল বা ডাইনি নামটি আমার বেশ পছন্দের। এটা ভীষণই ইন্টারেস্টিং নাম। ডাইনি কাকে বলা হয়? ডাইনি এমন একজন মহিলা যিনি কখনও পুরুষতান্ত্রিক সমাজের সদস্য হননি। আমার নিজস্ব মতামত পুরুষতান্ত্রিক সমাজের বিরুদ্ধে ছিল। হয়তো আমি সেই মানুষ, হয়তো আমি ডাইনি। হয়তো আমি জানি কীভাবে কালো জাদু করতে হয়'।
তিনি কি সত্যিই মাদক সরবরাহ করতেন সুশান্তকে। এ বিষয়েও রিয়া চক্রবর্তী বলেন, ‘এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চাই না। আমি মাদক নিয়ে, এনসিবি নিয়ে এবং সিবিআই নিয়ে কোনও কথা বলতে চাই না।’
জেলের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে রিয়া জীবনের চরম শিক্ষা পান। অভিনেত্রী বলেন, ‘জেল সহজ হতে পারে না। কারণ আপনাকে সমাজ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং আপনি আর তখন সমাজের অংশ নন। যে কারণেই হোক না কেন, সমাজে থাকার যোগ্য আপনি আর নন বলেই আপনাকে এই জায়গায় রাখা হয়েছে। আপনাকে অযোগ্য বলে মনে করা হয়। আপনি এখন আর মানুষ নন, নিজেকে এরকমই মনে হতে শুরু করে। আপনি একটি সংখ্যা, আপনাকে যেমন বলেছে সেভাবেই কাজ করেন’।
অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘তোমাকে তোমার জীবনে সুখের কিছু মুহূর্ত দেওয়া হয়, সেগুলো কেড়ে নেওয়া হয়, জেল থেকে আমি সেটাই শিখেছি। মনে হয় আমি এটা ছিনিয়ে নিতে এসেছি। দোষী প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত নির্দোষ হওয়াই ভারতের আইন ব্যবস্থার মূলমন্ত্র হওয়া উচিত’।
রিয়ার মতে, দোষী প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত নির্দোষ, নির্দোষ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত দোষী নয়। আমার বিশ্বাস, ওই জেলে সব মহিলাই একই পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন এবং তারাও আমার মতো নির্দোষ। তাদের কাছ থেকে জানতে পারলাম, এদের কেউ কেউ অনেক বছর ধরে আছে। তাদের বেশির ভাগেরই আইনজীবীর সুযোগ নেই বা আমার মতো পারিবারিক সমর্থনও নেই।
এমটিআই