ঢাকা : হুমায়রা হিমুকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার প্রেমিক মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন রুফিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
শনিবার (৪ নভেম্বর) তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার এসআই সাব্বির হোসেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট সাইফুর রহমান তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে হিমুকে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে তার মামা নাহিদ আক্তার উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় হিমুর বয়ফ্রেন্ড জিয়াউদ্দিন রাফিকে (৩৬) অভিযুক্ত করা হয়।
মামলার এজাহারে নাহিদ আক্তার অভিযোগ করেন, জিয়াউদ্দিন রাফি (৩৬) হিমুর বয়ফ্রেন্ড। ছয় মাস আগে থেকে তিনি নিয়মিত হিমুর বাসায় যাতায়াত এবং মাঝে মধ্যে রাত যাপন করতেন। ১ নভেম্বর রাফির মোবাইল নাম্বার ও ভিগো আইডি ব্লক করে দেন হিমু। বিষয়টি নিয়ে উভয়ের মধ্যে ঝামেলা হয়। ২ নভেম্বর বিকাল ৩টার দিকে রাফি বাসায় এসে কলিংবেল দেন।
মিহির দরজা খুলে দিলে তিনি বাসার ভেতরে যান। মিহির তার রুমে চলে যান। ৫টার দিকে রুফি মিহিরের রুমে গিয়ে চিৎকার করতে করতে বলেন, হিমু আত্মহত্যা করেছে। তখন মিহির তাকে জিজ্ঞাসা করে, আপনি-তো রুমেই ছিলেন। তখন তিনি বাথরুমে ছিলেন বলে জানান। এ সময় হিমু রুমের সিলিংফ্যানের হুকে রশি লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। মিহির সঙ্গে সঙ্গে হিমুর রুমে ঢুকে তাকে গলায় রশি লাগিয়ে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখতে পান। রুমে থাকা দুটি কাঁচের গ্লাস ভাঙা অবস্থায় দেখতে পান।
তাৎক্ষণিকভাবে তারা দুজন হিমুকে উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তখন রাফি হিমুর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন দুটি নিয়ে কৌশলে চলে যান। মামলা পর জিয়াউদ্দিন রাফিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এমটিআই