ঢাকা : কয়েক দিন আগে এক ব্যক্তিকে বেধড়ক মারধর করেন পাকিস্তানের বরেণ্য গায়ক রাহাত ফতেহ আলী খান। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে এমন দৃশ্য দেখা যায়। বিষয়টি নিয়ে তোপের মুখে পড়লে ওই ব্যক্তিকে ‘শিষ্য’ বলে সাফাই গান তিনি। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। বরং বড় মাশুল গুনতে হলো তাকে।
রাজা তৃতীয় চার্লস প্রতিষ্ঠা করেন সহিংসতাবিরোধী ব্রিটিশ এশিয়ান ট্রাস্ট। ২০১৭ সালে এ প্রতিষ্ঠানের অ্যাম্বাসেডর হিসেবে নিয়োগ পান রাহাত ফতেহ আলী খান। মারধরের ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর এ গায়কের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্রিটিশ এশিয়ান ট্রাস্ট। পাকিস্তানি গণমাধ্যম জিও নিউজ এ খবর প্রকাশ করেছে।
ব্রিটিশ এশিয়ান ট্রাস্টের মুখপাত্র সংবাদমাধ্যমটিকে বলেন, ‘সব ধরনের সহিংসতার বিরুদ্ধে ব্রিটিশ এশিয়ান ট্রাস্ট। যে পরিস্থিতিতে এ ধরনের ঘটনা ঘটুক না কেন, আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা মি. খানের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করেছি।’
ব্রিটিশ এশিয়ান ট্রাস্টের এ সিদ্ধান্তের পর নতুন একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন রাহাত ফতেহ আলী খান। এতে তিনি বলেন, ‘শুরুতে আমি আমার সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর কাছে ক্ষমার জন্য মাথা নত করছি। একজন মানুষ হিসেবে আমার এ ধরনের আচরণ করা ঠিক হয়নি; বিশেষ করে একজন শিল্পী হিসেবে। আমি যে আচরণ করেছি, তা সঠিক ছিল না। এজন্য আমি ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আমার বন্ধু ও ভক্তদের কাছে ক্ষমা চাইছি।’
একটি গ্রুপ রাহাত ফতেহ আলীর সম্মানহানির চেষ্টা করছে। তা জানিয়ে এ গায়ক বলেন, ‘ফাঁস হওয়া ভিডিওটি ৯ মাস আগের। আমার কোনো ধারণা নেই আরো কত ভিডিও তারা অনুমতি ছাড়াই তৈরি করেছে।’
তবে সবাইকে সতর্ক করে রাহাত ফতেহ আলী বলেন, ‘এই গ্রুপটি আমার আরো কিছু ভুয়া ভিডিও ছড়াতে পারে।’
যারা রাহাত ফতেহ আলীর সম্মানহানির চেষ্টা করছেন তারা ব্যর্থ হবেন। কারণ সবকিছু পেছনে ফেলে তিনি গানে মন দিতে চান বলেও মন্তব্য করেছেন এই গায়ক।
এমটিআই