ঢাকা: তিন বছর পর নির্মাতা ও প্রযোজক জানালেন রইদ সিনেমাটি তৈরি হবে সরকারি অনুদান ছাড়া। তাই এটি তৈরি হবে নতুন আয়োজনে। ইতিমধ্যে অনুদানের প্রথম কিস্তির টাকা ফেরত দিয়েছেন জয়া আহসান। এর আগে একই অর্থবছরে অনুদানের টাকা ফেরত দিয়েছেন নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরী।
২০২০-২১ অর্থবছরে সিনেমা নির্মাণের জন্য ৬০ লাখ টাকার সরকারি অনুদান পেয়েছিলেন জয়া আহসান জয়ার টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তথ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. সাইফুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘জয়া আহসান সিনেমাটি করবেন না বলে জানিয়েছেন। প্রথম কিস্তিতে যে টাকা নিয়েছিলেন, তা ফেরত দিয়েছেন।’
কবে টাকা ফেরত দিয়েছেন, জানতে চাইলে সাইফুল ইসলাম জানান, টাকা ফেরত দিলে চালানসহ চিঠি দেওয়া হয়। সেই চিঠি তাদের কাছে এখনো এসে পৌঁছায়নি। তাই ঠিক কোন তারিখে জয়া আহসান টাকা ফেরত দিয়েছেন, তা নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি।
অনুদানের টাকা ফেরত দেওয়া প্রসঙ্গে নির্মাতা মেজবাউর রহমান সুমন বলেন, ‘কাস্টিং ঠিক করা, লোকেশন ঠিক করা, এমনকি আমার নিজের ব্যস্ততা-সব মিলিয়ে কাজ শুরু করতে দেরি হচ্ছে। আমরা আরও দুই বছর আগে অনুদান পেয়েছি। এত দিনে সিনেমাটি জমা দেওয়ার সময়ও শেষ হয়ে গেছে।
যথাসময়ে সিনেমা নির্মাণ ও জমা দিতে না পারায় আগেও সমালোচিত হয়েছেন অনেকেই। জয়া কিংবা আমি সেই সমালোচনার মুখে পড়তে চাই না। তাই অনুদানের টাকা ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কারণ, পরিস্থিতি বিবেচনা করে দেখেছি, সিনেমাটি শেষ করতে আমাদের আরও সময় লাগতে পারে।’
এই নির্মাতা জানান, অনুদানের টাকা ফেরত দিলেও সিনেমাটি নির্মাণ হচ্ছে ভিন্ন আয়োজনে। সুমন বলেন, ‘অনুদানের টাকা ফেরত দিয়েছি মানে এই নয়, সিনেমাটি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে প্রি-প্রোডাকশনের কাজ প্রায় গুছিয়ে নিয়েছি। সিনেমাটি আমাদের নিজেদের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ফেসকার্ড থেকে তৈরি হবে।’
অনুদান ফিরিয়ে দিলেও রইদের প্রযোজনার সঙ্গে জয়া যুক্ত থাকবেন কি না, জানতে চাইলে মেজবাউর রহমান সুমন বলেন, ‘এ বিষয়ে এখনো জয়ার সঙ্গে কথা হয়নি। কথা হলে জানাতে পারব, তিনি সিনেমাটির প্রযোজক থাকবেন কি না। শেষবার যখন কথা হয়েছে, শুধু অনুদানের বিষয়ে কথা হয়েছিল। আমরা উভয় পক্ষ সম্মত হয়েছিলাম, সিনেমাটি করার জন্য যে সময়ের প্রয়োজন, সেই হিসাবে আমরা খুব তাড়াহুড়ো করে ফেলছি, যেটা আমরা করতে চাই না।’
এআর