ঢাকা : ইরানের জাতীয় পুরস্কার জিতেছে জয়া আহসানের প্রথম ইরানি চলচ্চিত্র ‘ফেরেশতে’। প্রতিবছর ফজর চলচ্চিত্র উৎসব শেষে ইরান সরকার জাতীয় পুরস্কার প্রদান করে থাকে। ইরান সরকার জাতীয় পুরস্কার প্রদান করে থাকে সেসব ছবিকে, যেগুলোর মাধ্যমে মানবাধিকার, শিক্ষা, পরিবেশ, দাতব্য কাজ ইত্যাদি বিভাগে দেশটির ‘জাতীয় ইচ্ছার প্রতিফলন’ ঘটে। মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির জন্য ইরানের জাতীয় পুরস্কার জিতেছে ‘ফেরেশতে’।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাতে খবরটি জানান জয়া নিজেই।
এই পুরস্কারের পাশাপাশি, ‘ফেরেশতে’ চলচ্চিত্রের প্রধান দুই অভিনেতা জয়া আহসান এবং সুমন ফারুককে ‘খয়র-ই-মান্দেগার’ স্মারক প্রদান করে সম্মানিত করা হয়।
জয়া জানান, এই পুরস্কারটি ‘খয়র-ই-মান্দেগার’ নামক একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রদান করা হয়, যা ইরানের সব দাতব্য প্রতিষ্ঠান, দাতা, এনজিওর প্রতিনিধিত্ব করে এবং প্রতিষ্ঠানটি ইরানে ইউনিসেফের মতো সক্রিয়।
জয়াকে দেওয়া স্মারকপত্রে বলা হয়, শিল্পের মাধ্যমে দানশীলতা দেখানো জীবনের সবচেয়ে সুন্দর চিত্র। যা কখনো কখনো মানুষকে তার নিজের প্রকৃতির মহাসাগরের গভীরে টেনে নিয়ে যায়। যাতে তার অস্তিত্বের মুক্তা আহরণ করতে পারে।
খয়র-ই-মান্দেগার দাতব্য সংস্কৃতি কেন্দ্র এই চিরন্তন কাজে ভূমিকা রাখার জন্য ৪২তম ফজর আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ‘জাতীয় ইচ্ছার প্রতিফলন’ বিভাগে আপনাকে পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে।”
৪২তম ফজর চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী ছবি হিসেবে প্রদর্শিত হয় ‘ফেরেশতে’। ইরানে ‘ফেরেশতে’ চলচ্চিত্রটি ‘দুরুগহায়ে যিবা’ নামে পরিচিত।
উল্লেখ্য, এ চলচ্চিত্রে জয়া আহসান ও সুমন ফারুক ছাড়াও রিকিতা নন্দিনী শিমু, শহীদুজ্জামান সেলিম, শাহেদ আলী, শাহীন মৃধা, শিশুশিল্পী সাথী অভিনয় করেছেন। পরিচালক মুর্তজা অতাশ জমজমের সঙ্গে সিনেমাটি লিখেছেন বাংলাদেশের মুমিত আল-রশিদ। ফারসি ও বাংলা অনুবাদ করেছেন মুমিত আল-রশিদ ও ফয়সাল ইফরান। যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত ‘ফেরেশতে’ সিনেমায় সহপ্রযোজক হিসেবে আছে ইমেজ সিনেমা, সি তে সিনেমা এবং ম্যাক্সিমাম এন্টারপ্রাইজ বাংলাদেশ।
এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :