• ঢাকা
  • শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৬ পৌষ ১৪৩১

বুবলি ইস্যুতে চয়নিকার ওপর ক্ষেপেছেন পরীমণি!


নিজস্ব প্রতিবেদক মার্চ ২৮, ২০২৪, ০১:৫২ পিএম
বুবলি ইস্যুতে চয়নিকার ওপর ক্ষেপেছেন পরীমণি!

গত কদিন ধরেই দুই নায়িকা একের পর এক ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট দিয়েছেন। চার দিন আগে ছিল নায়িকা শবনম বুবলি ও শাকিব খানের সন্তান বীরের জন্মদিন। ঘটনার সূত্রপাত ওই দিন থেকেই। অভিনেত্রী শবনম বুবলি ওই দিন রাতে সন্তানকে নিয়ে একটা ভিডিও পোস্ট দেন। সেই ভিডিও পুরোটাই কপি বলে পোস্ট দেন পরীমনি। 

মাস ছয়েক আগে তার সন্তান পুণ্যকে নিয়ে একই রকম ভিডিও পোস্ট করেছিলেন নায়িকা। পরীর এমন দাবির বিপরীতে পাল্টা পোস্ট দেন বুবলি। সেই আগুনে ঘি ঢেলে দেন পরীমনির কাছের এক নারী পরিচালক। তিনি ওই দিন ‘প্রহেলিকা’খ্যাত শবনম বুবলি ও তার সন্তানকে শুভ কামনা জানিয়ে দেন আরেকটি আবেগঘন পোস্ট। 

ধারণা করা হচ্ছে এতেই চয়নিকার ওপর ক্ষিপ্ত হন পরীমণি, পোস্ট দেন ফেসবুকে। অনেকেই তার পোস্ট দেখে বলছেন ফের কি হলো এ নায়িকার!  পরীমনি তার পোস্টে লিখেন, যে বা যারা আমার শত্রুর সাথে বন্ধুত্ব করে আজ থেকে কোনো দিন আমি তাদের মুখও দেখতে চাই না। অনেক তো হলো। এক টেলিভিশন উপস্থাপক ও চিত্রনাট্যকারকে মেনশন করে পরী শেষ করেন সেই ফেসবুক পোস্ট। তিনি লেখেন, আপনার কথা আমি আগে শুনি নাই। তার ফল পেয়েছি এত দিনে। আপনি সঠিক ছিলেন।

এদিকে, পরীমণি ও বুবলীর ভার্চ্যুয়াল যুদ্ধে লিপ্ত হওয়ার পরের কয়েক দিন বিভিন্ন জায়গায় ওই চয়নিকাকে বুবলীর সঙ্গে দেখা গেছে। এসবে ক্ষেপেছেন পরীমণি। সেই কারণেই নাকি পরীমণির এই স্ট্যাটাস।  পরীমণি সেই পরিচালকের নাম প্রকাশ করতে চাননি। শুধু দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন. ‘আমার সঙ্গে যার ঝামেলা, যে আমার শত্রু, তার  সঙ্গে ঘটনার পরের সারা দিনই ওই মানুষটি ছিলেন। আহারে, আমার শত্রুর সঙ্গে তিনি হাত ধরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তিনি আমাকে যেভাবে ভালোবাসা দেখান, এখন মনে হচ্ছে, এ ভালোবাসা পুরোপুরি ভুয়া। আমিও তাকে সরল মনে ভালোবেসেছিলাম, বিশ্বাস করেছিলাম, নানা সময়ে পাশে দাঁড়িয়েছিলাম। এখন মনে হচ্ছে, এসব আমার জন্য বৃথা, কষ্ট পেয়েছি আমি।’

কিন্তু যাকে আপনি শত্রু ভেবে স্ট্যাটাসটি দিয়েছেন, তিনি এসে যদি ক্ষমা চান, তখন কি করবেন? জানতে চাইলে পরী বলেন, ‘অনেক হয়েছে আর নয়। আমি জানি সে হয়তো আসবে। কিন্তু সে সুযোগ আর নাই। এখন আমি ওই মানুষটির ছায়াও আর মাড়াতে চাই না। এ ধরনের মানুষের জায়গা আমার কাছে আর কোনো দিনই হবে না। এ ধরনের বেইমানির জন্য আমি সংসার পর্যন্ত ভেঙে দিয়েছি। আর কী জানতে চান?’

Wordbridge School
Link copied!