ঢাকা : কারিনা সম্প্রতি বিয়ে নিয়ে বিভিন্ন অজানা তথ্য ফাঁস করেছেন। প্রথমবার ‘তাসান’ সিনেমার সেটে কারিনাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন সাইফ। সে সময় তারা ছিলেন গ্রিসে। প্রথমবার না বলেন কারিনা। এরপর একইভাবে লাদাখেও প্রেম নিবেদন করে বসেন সাইফ।
সাইফ যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছিলেন না। এই লেগে থাকা অবশ্য বেশ কাজে দিয়েছে। কারিনা খুব বেশি দিন মুখ ফিরিয়ে থাকতে পারেননি। বিয়ের আগে প্রায় পাঁচ বছর লিভটুগেদার করেছিলেন করেছিলেন তারা। কিন্তু এক সময় কারিনাকে অনেকেই বারণ করেছিলেন সইফকে বিয়ে করতে।
সাইফের সঙ্গে কারিনার বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আসতেই অসন্তুষ্ট হন কেউ কেউ। কারিনা জানান, অনেকেই উপদেশ দিয়েছিলেন, তিনি যেন এই বিয়ে না করেন। তাতে তার ক্যারিয়ারের ক্ষতি হবে। কাজ পেতে সমস্যা দেখা দেবে।
এ প্রসঙ্গে কারিনা বলেন, ‘যখন অনেকেই আমাকে এ এক কথা বলতে শুরু করলেন, তখন তাদের বলেছিলাম, যদি সাইফকে বিয়ে করলে প্রযোজকরা কাজ না দেন, দেবেন না। মরে তো যাব না!’ যদিও বিয়ের পরও একাধিক ভালো সিনেমায় কাজ করেছেন তিনি। শেষমেশ লোকে কী বলবে, না ভেবে সাইফের সঙ্গে ঘর বাঁধেন হাজারো ভক্তের হৃদয় হরণ করা বলিউড নায়িকা কারিনা।
২০১২ সালে বলিউড নায়িকা কারিনা কাপুর তার ক্যারিয়ারের মধ্যগগনে থাকাকালে সাইফ আলি খানকে বিয়ে করেন। দুজনেই বলিউডের অভিজাত ও আলোচিত পরিবারের সন্তান।
নিজ গুণে আলাদা শিল্পীসত্তা তৈরি করেছেন কারিনা-সাইফ। তাদের দাম্পত্যের বয়স এখন প্রায় এক যুগ। সাইফ-কারিনা এখন দুই সন্তানের জনক-জননী।
সাইফ-কারিনার যে সময় বিয়ে হয়, তখন কারিনা ছিলেন বলিউডের প্রথম সারির নায়িকা। কারিনার আগে সাইফের বিয়ে হয় অভিনেত্রী অমৃতা সিংহের সঙ্গে। সেই পক্ষের দুই ছেলে-মেয়েও রয়েছেন অভিনেতার। হিন্দুস্থান টাইমস
এমটিআই