ঢাকা: হঠাৎ করেই ফের আলোচনায় চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। নির্বাচন হয়ে গেছে প্রায় একমাস আগে। সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন মিশা সওদাগর এবং মনোয়ার হোসেন ডিপজল। সাবেক সাধারণ সম্পাদক নিপুণ আক্তার ফুল দিয়ে বরণও করেছেন নতুন নেতৃত্বকে। কিন্তু হঠাৎ করেই নতুন নির্বাচন চেয়ে আদালতে রিট করে বসলেন নিপুণ। এমনকি লন্ডন থেকে এক সাক্ষাৎকারে ডিপজলকে ‘অশিক্ষিত’ বলেও মন্তব্য করেছেন সাধারণ সম্পাদক পদে হেরে যাওয়া নিপুণ আক্তার।
এই অভিনেত্রী বলেন, ‘স্যরি টু সে, আমাকে বলতে হচ্ছে- শিল্পী সমিতিতে এমন একজন সেক্রেটারি পদে এসেছেন যার কোনো শিক্ষা নেই। এটা ২০২৪ সাল। আমরা ২০২৪ সালে দাঁড়িয়ে আছি। এটা অশিক্ষিত লোকদের জায়গা না, এটা আনকালচারদের জায়গা না। এটা কাজ করে দেখিয়ে দেওয়া লোকদের জায়গা।’
এরপর নিপুণ বলেন, ‘শুধু কাজ করলেই হবে না। জ্ঞান থাকতে হবে, শিক্ষিত হতে হবে। আমি একজন গ্রাজুয়েট। আমার তিন প্রজন্ম গ্রাজুয়েট।’
তবে বসে নেই ডিপজলও। কড়া ভাষায় নিপুণের কটাক্ষের জবাব দিয়েছেন তিনি। শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন ডিপজল বলেন, তিনি (নিপুণ) তো বাপকেই অস্বীকার করেন। রক্তের সমস্যা না হলে এমন বলতে পারে না। কারণ, ও (নিপুণ) যাকে দিয়ে চলচ্চিত্র চিনেছে তাকেই ভুলে গেছে, অস্বীকার করছে। কেস খেলবা আসো। যেটার খেলার মন চায় সেটাই খেলো। আমরা চাই ভদ্রতা ও নম্রতা। আমরা চাই চলচ্চিত্র কিভাবে এগিয়ে নেওয়া যায় সেদিকেই কাজ করব। আমরা ঝামেলা চাই না।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) নিপুণ সমর্থিত শতাধিক শিল্পীরা মিশা-ডিপজলকে সংবর্ধনা জানিয়েছেন। এসময় তাদের উদ্দেশ্য ডিপজল বলেন, আমরা কাউকে আলাদা করতে চাইনি। আমি আগেও বলেছি এখনো বলছি- যারা একদিনের জন্য সদস্য হয়েছে কিন্তু বাদ পড়েছে তারা সদস্যপদ ফিরে পাবে সেটা নির্বাচনের আগেই বলেছিলাম। যেহেতু নির্বাচিত হয়েছি এখন তাদের সদস্যপদ ফিরিয়ে দেব। বিগত দিনে যারা ভুল করেছে তাদের আমরা ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখছি, আপনারাও দেখবেন। পেছনে ফিরে তাকানোর সময় নেই। কিভাবে চলচ্চিত্রের উন্নয়ন করা যায় সেভাবে কাজ করতে হবে।
এএন/আইএ