• ঢাকা
  • শনিবার, ০৬ জুলাই, ২০২৪, ২২ আষাঢ় ১৪৩১

প্রশাসনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে এবার জুয়া কোম্পানির শুভেচ্ছাদূত হলেন পরীমণি!


বিনোদন প্রতিবেদক জুন ২, ২০২৪, ০৪:৩৬ পিএম
প্রশাসনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে এবার জুয়া কোম্পানির শুভেচ্ছাদূত হলেন পরীমণি!

ঢাকা : একটি অনলাইন জুয়া কোম্পানির শুভেচ্ছাদূত হলেন আলোচিত-সমালোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণি। গত মার্চে শুভেচ্ছাদূত হিসেবে পরীমণির নাম ঘোষণা করে কোম্পানিটি। আজ রবিবার নিজের ফেসবুক পেজে ওই কোম্পানির একটি বিজ্ঞাপন পোস্ট করেন নায়িকা। সেখানে ওই জুয়ার ওয়েবসাইট ভিজিট করতে সবাইকে আমন্ত্রণ জানান পরীমণি।

এরআগেও একাধিক নায়িকাদের মোবাইলে জুয়া কোম্পানির শুভেচ্ছাদূত হতে দেখা গেছে। তাতেও প্রশাসনের কোন নড়চর চোখে পড়েনি।  

দেড় মিনিটের ওই বিজ্ঞাপনে দেখা যায়, হলে বসে সিনেমা দেখছেন পরীমণি। এমন সময়ে তার মোবাইলে জুয়া কোম্পানি থেকে ১০ হাজার টাকা জেতার মেসেজ আসে। খুশিতে চিৎকার করে ওঠেন তিনি। ফ্ল্যাশব্যাকে দেখা যায়, বাংলাদেশ–ভারত ম্যাচে রোহিত শর্মার আউটে আনন্দ করছেন পরীমণি। এরপর তাকে বলতে শোনা যায়, ‘একটু (কোম্পানির নাম) আনন্দে মেতে উঠেছিলাম। তুমিও পারো আমার মতো টিম বানিয়ে ম্যাচ প্রেডিক্ট করে জিতে নিতে নানা উপহার। ওয়েবসাইটে চলে যাও আর পেয়ে যাও আরও তথ্য।’

জুয়া কোম্পানির শুভেচ্ছাদূত হওয়া প্রসঙ্গে পরীমণির কাছে জানতে চাইলে বিরক্তি প্রকাশ করে তিনি পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘কে বলেছে এটা জুয়া কোম্পানির ওয়েবসাইট? ভালো করে খোঁজ নিয়ে ফোন করুন।’ এরপরই ফোন কেটে দেন তিনি। পরীমণি অস্বীকার করলেও ওই কোম্পানির ওয়েবসাইট ঘুরে দেখা গেছে, সেখানে চলছে বিভিন্ন লোভনীয় জুয়ার অফার। তাহলে কি প্রশাসনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে জুয়া কোম্পানির শুভেচ্ছাদূত হলেন পরীমণি?

জানাগেছে পরীমণি বিরুদ্ধে নাসির কাণ্ডের পর বাসায় মদের বারসহ ভয়ংকর এলএসডি-আইস মামলা চলমান থাকলেও আইনের কোন তোয়াক্কা না করে একের পর এক অপরাধের সঙ্গে জড়াচ্ছেন এই সমালোচিত নায়িকা?

এদিকে এ বিষয়ে সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা বিষয়ক জাতীয় কমিটির সদস্য প্রকৌশলী মো. মুশফিকুর রহমান বলেন, অনলাইনে এসব জুয়ার সাইট মূলত ফাঁদ। এগুলোর সঙ্গে কেউ যুক্ত হলে লাভ করা তো দূরের কথা, বরং আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অনেকে এসবের মাধ্যমে দেশের টাকা পাচার করছে বিদেশে। এ ধরনের অ্যাপস বা সাইট ব্যবহার থেকে দূরে থাকতে সবাইকে আহ্বান জানান এই বিশেষজ্ঞ। তিনি এসব প্রচারণা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সরকারের সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার এর আগেও গণমাধ্যমকে বলতে দেখা গেছে, ‘এটা সম্পূর্ণ অবৈধ, আমরা জুয়া এলাও করি না। আমাদের নজরে এলে আমরা এসবের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেই। আমরা সবসময় জুয়ার প্রচারণা না চালাতে সবাইকে বলে থাকি।’

এছাড়া কোনো পেজে এসব পাওয়া গেলে পেজগুলো বন্ধ করতে সংশ্লিষ্টদের বলা আছে বলেও জানান বিটিআরসি চেয়ারম্যান।

এএন

Wordbridge School
Link copied!