• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১
দিলদার নেই ২১ বছর

মনে পড়ে সেই দিলদারকে?


বিনোদন প্রতিবেদক জুলাই ১৩, ২০২৪, ০৩:৪৭ পিএম
মনে পড়ে সেই দিলদারকে?

ঢাকা : বাংলা সিনেমার ইতিহাসে দিলদার এক অনবদ্য নাম। নিজের ভিতর শত কষ্ট চেপেও পর্দায় দর্শকদের হাসিয়েছেন তিনি।

পর্দায় তার উপস্থিতি মানেই যেন দর্শকের উন্মাদনা, করতালিতে মুখরিত হয়ে উঠত সিনেমাহল। অভিনয়ে যেন জাদু ছিল তার। অভিনেতাদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে একচেটিয়া রাজত্ব করে গেছেন তিনি। শূন্যতা রেখেই বিদায় নিলেন দুনিয়া থেকে।

২০০৩ সালের আজকের এই দিনে মাত্র ৫৮ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন তিনি। তিনি নেই একুশ বছর। তবুও মানুষের মনে গেঁথে আছে এই অভিনেতা। তার চলে যাওয়ার ২১ বছর পার হয়ে গেলেও তার মত করে কেউ আর আসেনি।


 
১৯৪৫ সালের ১৩ জানুয়ারি চাঁদপুর জেলার সদর উপজেলার শাহতলী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন দিলদার। এসএসসি পাস করার পর আর পড়ালেখা করেন নি, ছেড়ে দেন। এরপর ১৯৭২ সালে ‘কেন এমন হয়’ সিনেমার দিয়ে ঢালিউডে পা রাখেন। অসংখ্য সিনেমায় করেছেন তিনি ,দু হাতে কুড়িয়েছেন দর্শকের ভালোবাসা।

শুধু কৌতুক অভিনেতা নয়, নায়ক হিসেবেও তাকে দেখা গিয়েছিল পর্দায়। ‘আব্দুল্লাহ’ সিনেমায় দিলদারের নায়িকা ছিলেন নূতন। সেই সিনেমাটিও দারুণ প্রশংসা কুড়ায়। কিন্তু এরপর সেভাবে আর তাকে পাওয়া যায়নি। কৌতুক অভিনেতা হিসেবেই বাকিটা সময় অভিনয় করে গেছেন।

‘তুমি শুধু আমার’ সিনেমায় অভিনয়ের সুবাদে ২০০৩ সালে সেরা কৌতুক অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন তিনি। যে বছর তিনি সেরার স্বীকৃতি পান, সে বছরই সবাইকে কাঁদিয়ে চলে যান না ফেরার দেশে। তার মৃত্যুর পর অনেক কৌতুক অভিনেতা এলেও সময়ের স্রোতে আবার হারিয়েও গেছেন। কেউই দিলদারের অভাব পূরণ করতে পারেননি।

দিলদারের উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলো হচ্ছে— ‘বেদের মেয়ে জোসনা’, ‘বিক্ষোভ’, ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘কন্যাদান’, ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’, ‘সুন্দর আলীর জীবন সংসার’, ‘স্বপ্নের নায়ক’, ‘আনন্দ অশ্রু’, ‘শান্ত কেন মাস্তান’সহ অসংখ্য চলচ্চিত্র।

এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!