ঢাকা: কয়েকদিন আগেই লন্ডন থেকে দেশে ফিরেছেন চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার। এর আগে একাধিকবার লন্ডনে গেলেও এবারের যাত্রাটি ছিল অভিনেত্রীর জন্য অন্যরকম অভিজ্ঞতা। সেখানে ‘লন্ডন উইমেন এমপাওয়ারমেন্ট সামিট ২০২৪’-এ অংশ নিতে গিয়েছিলেন তিনি।
এদিকে দেশে ফিরেই নিজের ব্যবসা ও চলমান কোটা আন্দোলন নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন নিপুণ। এ সময় দেশের বর্তমান পরিস্থিতির কারণে ব্যবসায়িক দিক থেকে ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
বর্তমানে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে মনোয়ার হোসেন ডিপজলের সঙ্গে আইনি লড়াই করছেন নিপুণ। তার পক্ষে মামলা লড়ছেন আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল। গত সপ্তাহেই ছিল মামলার শুনানির তারিখ।
শুধু নিপুণেরই নয়, কোটা আন্দোলনকারীদের পক্ষেও মামলা লড়ছিলেন এই আইনজীবী। তাই অভিনেত্রী নিজেই মঞ্জুরুলকে জানান, শুনানির তারিখ আরও কিছুদিন পেছানোর আবেদন করতে।
নিপুণ বলেন, শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদ জাতীয় কোনো ইস্যু নয়। তার চেয়ে কোটা আন্দোলনকারী ছাত্রদের মামলা নিয়ে লড়াটা জরুরি। তাই মঞ্জুরুল ভাইকে বলেছিলাম, আগে ছাত্রদের ন্যায্য দাবি পাইয়ে দিন, তারপর আমার মামলাটা দেখা যাবে।
জানা গেছে, রাজধানীর গুলশান ও বনানীতে ‘সাজঘর’ নামে দুটি বিউটি পার্লার আছে নিপুণের। সেখানে ৫০ জনের বেশি কর্মী কাজ করেন। রয়েছে বিদেশি কর্মীও। কিন্তু দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে ব্যবসার অবস্থা খুবই খারাপ। তাকেও দেখতে হচ্ছে লোকসানের মুখ।
এই অবস্থায় কর্মীদের আনা-নেওয়ার জন্য ট্রান্সপোর্টের ব্যবস্থা করতে হচ্ছে। বিদেশি কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও নিয়োগ দিতে হচ্ছে অতিরিক্ত জনবল। সব মিলিয়ে খরচ দিনদিন ঊর্ধ্বমুখী হলেও আয় নিম্নমুখীর দিকেই যাচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে নিপুণ বলেন, এভাবে তো চলতে পারে না। সরকার ছাত্রদের দাবি মেনে নিয়েছে। এখন তো সব কিছু শান্ত হয়ে যাওয়া উচিত। আমরা যারা ব্যবসা করি তারা বুঝতে পারি একেকটা দিন নষ্ট মানে লাখ লাখ টাকার ক্ষতি। এই ক্ষতি পুষিয়ে উঠব কী করে? একজন অভিনেত্রী ও নারী উদ্যোক্তা হিসেবে অনুরোধ করব, অনেক হয়েছে, প্লিজ এবার দেশকে দেশের মতো চলতে দিন।
আইএ